র‍্যাব কোন মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি, করার সুযোগই নেই, পাথরঘাটায় র‍্যাব মহাপরিচালক

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ০৫:৫৫ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

পাথরঘাটা বরগুনা প্রতিনিধি

বাংলাদেশের সংবিধানের আইন ও বিধি অনুযায়ী র‍্যাব দায়িত্ব পালন করে। র‌্যাব কখনই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি, করবেও না। এখানে মানবাধিকার লংঘনের কোনো সুযোগ নেই। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত নতুন বাজার প্রস্তাবিত আব্দুর জব্বার আকন মৎস্য ঘাটে উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে মহাপরিচালকসহ ৭ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে

র‍্যাব মহাপরিচালক চৌধূরী আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন একথা বলেন।


জেলেদের সাথে মতবিনিময় শেষে বেলা আড়াইটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে র্্যাবের মহাপরিচালক ‘উপকূলীয় জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ মতবিনিময় সভা’য় যোগ দেন তিনি। এসময় র‍্যাব ফোর্সেস অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপরাশনস) কর্ণেল কে এম আজাদ বিপিএম, পিএসসির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক মশিউর রহমান, বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ও বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক।



এসময়র্্যাব মহাপরিচালক বলেন, র‌্যাব জনগণের নিরাপত্তা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় উপকূলের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তায় র‌্যাব সব সময় ছিল। এ কারণে আজ সুন্দরবন দস্যু মুক্ত, জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করতে পারেন। এ সময় জেলেদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সুন্দরবন যেভাবে জলদস্যু মুক্ত করা হয়েছে, একইভাবে বঙ্গোপসাগরও জলদস্যু মুক্ত করা হবে। র‌্যাব প্রধান আরও বলেন, যারা এখনো দস্যুতার সাথে জড়িত তারা আত্মসমার্পণ করলে র‌্যাব তাদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেবে, যদি দস্যুতা বন্ধ না হয় তাহলে র‌্যাব ছাড় দেবেনা। দস্যু দমনে যা যা করা প্রয়োজন সব করা হবে।


এ সময় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জেলেদের পক্ষ থেকে পাথরঘাটায় র‌্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প ও সি প্লেন দাবি করেন। এছাড়াও অন্তত সপ্তাহে একবার বঙ্গোপসাগরে হেলিকপ্টার টহলের দাবি করেন।


মোস্তফা চৌধুরী আরো বলেন, দস্যু অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটায় র‌্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন উপকূলবাসীর দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে। এ দাবি এখন প্রাণের দাবি। এ দাবির পাশাপাশি দস্যুদের গ্রেফতার বা আটক নয়, তারা দস্যুদের বন্দুকযুদ্ধের মাধ্যমে বিচার চান উপকূলের জেলেরা।


র‌্যাবের ঘাঁটির বিষয় র্্যাব প্রধান বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে। ঘাঁটির বিষয় অনেক আইনি প্রক্রিয়া আছে আমরা চেষ্টা করবো।  তবে আমাদের নিয়মিত টহল আছে চলবে। আমরা সব সময় মৎস্যজীবীদের পাশে ছিলাম থাকবো।


দস্যুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা অন্যদের মতো কথার কথা বলতে আসিনি। আমরা যা বলে তা করে দেখাই। কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে জলদস্যুদের বলেন, আপনারা এ পেশা ছেড়ে দেন। এ পেশা না ছাড়লে আমাদের হাত রেখে রেহাই পাবেন না। আগের মতো অবস্থাই হবে আপনাদের। আপনাদের পূর্বসূরিদের অবস্থা যেমন দেখছেন আপনাদেরও একই পথের পথিক হতে হবে।



র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক মশিউর রহমান জানান, আত্মসমর্পন করার পর এখনো পর্যন্ত ৩২৬ জন জলদস্যুকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি দস্যুরা সক্রিয় হওয়ার পর র্যাবের অভিযানে তিন জলদস্যু নিহত হয়েছে। বাকিরাও নজরদারিতে আছে।


এরপর র্য্যবের পক্ষ থেকে জলদস্যুদের গুলিতে নিহত জেলে মুছার স্ত্রী  তাজিনুর বেগমকে এক লাখ এবং অপহরণের শিকার সাত জেলেকে ১০ হাজার করে টাকা অনুদান দেয়া হয়।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)