পাথরঘাটায় কোটি টাকার সড়কে আবারো গর্ত খুঁড়েছে পল্লী বিদ্যুৎ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোর সবগুলো ছিল খানাখন্দে ভরা। সম্প্রতি আজকের পত্রিকায় এ বিষয়ে নিউজ প্রকাশ হলে স্থানীয় সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমন এর হস্তক্ষেপে সড়ক ও জনপথ (সওজ) দ্রুত সড়কগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করেন। সড়ক সংস্কারের এক মাস পার হতে না হতেই আবারো সেই সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ করতে গিয়ে আবারও গর্ত খুঁড়ে খানাখন্দে পরিণত করেছে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বলছে ঠিকাদারের খামখেয়ালিপনা ও সমন্বয়ের অভাবে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় পাথরঘাটা পৌরসভার সামনে থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কের পাশ থেকে পুরাতন বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে গিয়ে বড় বড় গর্ত খুঁড়ে ফেলে রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ। এতে জনসাধারণের চলাচলে যেমন বিঘ্ন ঘটছে তেমন দীর্ঘদিন ভোগান্তির পরে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কের বেহাল দশা করায় জনমনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা সেলিম রেজা জানান, দীর্ঘদিন ভোগান্তির শেষে সড়ক ও জনপথ রাস্তার কাজ শেষ করেছে। এরমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকেরা পুরাতন বিদ্যুতের খুঁটি পরিবর্তন করে রাস্তা খুঁড়ে গর্ত করে রাস্তার উপর ফেলে রেখেছে। এমনকি রাস্তার উপর ফেলে রাখা মাটিগুলোও গর্তের মুখে দিয়ে ঢেকে পর্যন্তও দেয়নি তারা।
পাথরঘাটা উপজেলা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন জানান, জনগণের কল্যাণার্থে নিয়োজিত ডিপার্টমেন্ট গুলোর সমন্বয়ের অভাবেব সাধারন জনগনকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যখন সড়কের কাজ চলছিল তখন যদি বৈদ্যুতিক খুঁটি গুলো পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ অপসারণ করতো তাহলে সওজের নির্মিত রাস্তার ক্ষতি হতো না। এসকল কর্তৃপক্ষের ও ঠিকদারদের খামখেয়ালীপনার কারনে সরকারের দুর্নাম হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন বিভিন্ন সময়ে সড়কে গর্ত করে নামে মাত্র মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে মাটি দেবে পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়। যা ইতিপূর্বে পাথরঘাটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নতুন পানির সংযোগ দিতে গিয়ে শহরের বেশ কিছু এলাকায় এমন অবস্থা করে রেখেছিল।
জানতে চাইলে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির পাথরঘাটা এজিএম কুমোদ রঞ্জন দেবনাথ জানান, খুঁটি পরিবর্তনের কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছিল।
তবে ঠিকাদার সময়মতো কাজটি সম্পন্ন করেনি। শুনেছি কিছু দিন আগে তারা খুঁটি পরিবর্তন করেছে। কিন্তু পাথরঘাটা বিদ্যুৎ অফিসে না জানিয়েই তারা চলে গেছে। তিনি আরো জানান, ঠিকাদার নিয়ন্ত্রণ সদরদপ্তর করে বিধায় স্থানীয় ভাবে কিছু করার থাকে না। তবে সমন্বয়ের অভাবে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। রাস্তার গর্তগুলো অল্পের মধ্যেই তিনি নিজ দায়িত্বে ভরাট করে দিবেন বলে জানান।