পাথরঘাটায় নিম্নমানের ইট তৈরী ও নদীর মাটি কাটা বন্ধের দাবি
প্রমত্তা বিষখালী নদীর মাটি কাটা, সাইজে ছোট দেয়া ও নিম্নমানের ইট তৈরী বন্ধসহ পরিবেশ রার দাবি করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসকাবে নিম্মমানের ও বিভিন্ন সাইজের ইট নিয়ে জনস্বার্থে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি করেন পাথরঘাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার কীর্ত্তনিয়া, সাংবাদিক আমিন সোহেল, কামাল হোসেনসহ একাধিক বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি।
এ সময় রফিকুল ইসলাম কাকন দাবি করেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা একটি সিডর বিধ্বস্ত ও গরীব এলাকা। বন্যা ও জলোচ্ছাস নিত্য নৈমিত্তিক হিসেবে মোকাবিলার জন্য অতিকষ্টার্জিত অর্থ সঞ্চয় ও ঋণ নিয়ে ইমারত নির্মাণ করে থাকেন। এ উপজেলায় আরএসবি, এমএল,এসটিএফ, খান, এএনবি ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। দীর্ঘ বছর যাবৎ ভাটাগুলো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনগনের সাথে প্রতারণা করে আসছে। ইটের মাপ ১০×৫×৩ (৯.৫×৪. ৫২.৭৫) হওয়ার এবং ওজন ৩.৫০ থাকার কথা থাকলেও অত্যন্ত ছোট আকারের ইট তৈরী করে বাজারজাত করছেন। এতে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে লাভবান হচ্ছে ভাটার মালিকরা।
এছাড়াও বিষখালী নদীর মাটি অবাধে কাটা হচ্ছে পাশাপাশি কালো ধোয়ার কারণে পরিবেশও হুমকি মুখে পরছে। অমান্য করছেন সরকারী আইন ও বিএসটিআইএর নীতিমালা। গুণাগুন নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পাথরঘাটা উপজেলা সমন্বয়ক সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, অবাধে বিষখালী নদী মাটি কেটে নিচ্ছে ভাটার মালিকরা। এ জন্য ইতোপুর্বে প্রশাসন থেকে কঠোর পদপে দিলেও আবার তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশ আর টেকানো সম্ভব হবেনা। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের কঠোর পদপে নিতে পরামর্শ দেন তিনি।