মঠবাড়িয়ায় শিক্ষকের নির্মম নির্যাতনে স্কুল ছাত্র হাসপাতালে
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর): পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কোচিং সেন্টারে সহপাঠি ছাত্রীর সাথে কথা বলার অপরাধে শহরের কে.এম. লতীফ ইনস্টিটিউশনের অস্টম শ্রেণীর এক ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে ওই স্কুলেরই শিক্ষক শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন।
রোববার (২৫ মার্চ) দুপুরে শহরের তরকারী বাজার সংলগ্ন ওই শিক্ষকের কচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত স্কুল ছাত্র তানজিল (১৪) কে সহপাঠিরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত তানজিল মঠবাড়িয়া গ্রামের মৃত লাবু তালুকদারের ছেলে।
আহত ছাত্র জানান, ওই স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনের কোচিং সেন্টারের একজন সে নিয়মিত ছাত্র। রোববার সকালে ওই সেন্টারে কোচিং এর ক্লাস শেষে ভুলে ফেলে রেখা বই দুপুরে টিফিনের সময় ওই আনতে যাই। এ সময় শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে বেত দিয়ে এলাপাথারী পিটিয়ে ও লাথি মেরে মারাত্মক আহত করে।
তানজিলের ফুফু তাসলিমা বেগম জানান, এর আগেও নানা অজুহাতে তানজিলকে ওই শিক্ষক পিটিয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন জানান, কোচিং সেন্টারের ভিতরে সহপাঠি এক ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাওয়ায় নির্যাতন করেন বলে স্বীকার করেন। তবে নির্যাতনের পরিমান বেশী হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্যাতনের খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রে খোঁজখবর নিয়েছি এবং এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল ইসলাম বিএসসিকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,এই অভিযুক্ত শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনের নামে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আরো মারধরের অভিযোগ বিগত দিনে পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র জানান, গিয়াস স্যার বিদ্যালয়ে নিজের প্রভাব খাটাতে চায়।এজন্য তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নানান চাপের মধ্যে রাখত।কারণে-অকারণে তিনি প্রায়ই ছাত্রদের মারধর করতো।
এ নিয়ে এলাকায় ও ছাত্রদের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এন এ এস / পাথরঘাটা নিউজ