ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে সংশয় পাথরঘাটার ভোটাররা
বরগুনার পাথরঘাটায় তৃতীয় ধাপের আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে যাচ্ছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোটাররা । তবে প্রথমবার এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট নিয়ে তারা শঙ্কায় আছেন । নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও ভাবছেন অনেকেই ।
এ উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ আগামী ২৮ নভেম্বর। রায়হানপুর, নাচনাপাড়া, চরদুয়ানী ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হলেও পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে ইলেকট্রিক ডিভাইস এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আইউব আলী হাওলাদার।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এলাকার বেশিরভাগ মানুষই মৎস্য প্রেসার সাথে জড়িত। সেকারণে ইলেকট্রিক ডিভাইস এর সাথে তারা তেমন পরিচিত নয়। অপরদিকে গ্রামের বৃদ্ধ ও নারী ভোটাররা ইভিএমের সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এতে প্রার্থীরাও যেমন দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগছে তেমনি ভোটাররাও তাদের কাঙ্ক্ষিত ভোট সঠিকভাবে দিতে পারবে কিনা সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে। তবে সচেতন নাগরিকরা ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অনন্য নিদর্শন হিসেবে ইভিএমকে পজিটিভ হিসেবে দেখছেন।
স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী আমিন সোহেল ও শফিকুল ইসলাম খোকন জানান, আধুনিক প্রযুক্তির ভালো ও মন্দ দুটো দিকই থাকবে। তবে উপকূলীয় এলাকার ভোটারের সংশয় দূর করতে সংশ্লিষ্টদের পাথরঘাটায় নতুন এ পদ্ধতি নিয়ে প্রচার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভোটারদের সংশয় দূর হয়ে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আলমগীর হোসেন (নৌকা), মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ (বিদ্রোহী), সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মোল্লা (সতন্ত্র), হাফিজুর রহমান (হাতপাখা), রাসেদুল ইসলাম ও সুমন মোল্লা (সতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।
গত ২ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল এ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের। বৃহস্পতিবার ছিল বাছাইয়ের দিন। এবং ১১ নভেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিন। বাছাইয়ে চরদুয়ানী ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মনোনিত সোহাগ বাদশাহ (হাতপাখা) মনোনয়ন ঋণ খেলাপির অভিযোগে বাতিল হয়েছে। বাতিলের বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় নিশ্চিত করেছেন চরদুয়ানী ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু। বাতিলকৃত প্রাথীকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর আপিল করতে বলা হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আইউব আলী হাওলাদার জানান, ইভিএম নিয়ে শঙ্কার কারণ নেই । ইতি মধ্যে বিভিন্ন ইউপি নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন । প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দিয়ে প্রজেক্টেরের মাধ্যমে ডামি ভোট দেখানো হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।