বরগুনায় পুনরায় ৩টি সংসদীয় আসন পূনঃবহালের দাবিতে নাগরিক সভা
উপকূলীয় জেলা বরগুনার ৩টি সংসদীয় আসন পূনঃবহালের দাবিতে গতকাল সন্ধায় বরগুনার পাঠশালা মিলনায়তনে বিভিন্ন স্তরের নাগরিক প্রতিনিধিদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরগুনা প্রেসক্লাবের উদ্দোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, প্রেসক্লাব সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশা।
নাগরিক প্রতিনিধিরা বলেন, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার পরিকল্পিত এবং অবিচার করে আমাদের একটি সংসদীয় আসন কেড়ে নিয়েছে। জনসংখ্যার দিক বিবেচনা করে এটা করেছে বলে তখন তারা জানিয়েছিলেন। ভৌগলিক অবস্হানের দিক থেকে বরগুনার ৩টি সংসদীয় আসন একান্ত প্রয়োজন।
সংসদীয় ৩টি আসন পূনঃবহালের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বক্তারা বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী বরগুনা ৩ সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি জানেন এই আসনের দূর্গম পদ আর জনগনের দূর্ভোগের কথা।
সংসদীয় ৩টি আসন ফিরে পেতে নাগরিকরা গঠনমূলক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহন করেন।
সভায় পাথরঘাটা উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে সংসদীয় অাসনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন মানবাধিকার কর্মী নিয়াজ মোর্শেদ।
তিনি বলেন, জনগনের সুবিধার্থে ভৌগলিক অবস্থা এবং বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে সংসদীয় আসন পূ্নর্বিন্যাস হওয়া খুবই জরুরী।
দেখা যায়, বরগুনা- ২ সংসদীয় আসনের শুরু বঙ্গোপসাগরের মোহনা পাথরঘাটা উপজেলার হরিনঘাটা থেকে যার শেষ বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়ন থেকে যা প্রায় বরিশালের কাছাকাছি।
এখানে হিসেব মতো উন্নয়নমূলক বরাদ্দ দেয়া হয় একটি অসনের। যাতে করে ২০০৮ সালের আগের তুলনায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে অধিক বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলার সাধারন জনগন।
কাঠালতলী, চরদুয়ানী, পাথরঘাটা সদর, কালমেঘা ও কাকচিড়া ইউনিয়ন সহ ৩ উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন সম্পূর্ণ নদী ও সাগর ঘেরা, বন্যা কবলিত এলাকা হওয়ায় যে কোনো জনপ্রতিনিধিদের নিজ এলাকার নিয়মিত বরাদ্দ দিয়ে এলাকাকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় সব সময়।
নাগরিক সভায় বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, বেতাগী, আমতলীর সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উন্নয়ন সংগঠক সহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।