যেভাবে আটক হয় কুমিল্লার ইকবাল
কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন…উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৪
অভিযুক্ত ইকবালকে কক্সবাজারের এসপি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহানের নেতৃত্বে শুক্রবার ভোরে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশের একটি টিম।
আরও পড়ুন…ছাত্রলীগ নেতার গান শোনার পর পরিচয় প্রকাশ করে ইকবাল
ইকবালকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি এস.এ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু, তার বন্ধু তারেক রায়হান ও সাজ্জাদুর রহমান অনিক।
সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্ত ইকবালকে অনুসরণ করে কৌশলে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সহযোগিতা নেন।
ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু বলেন, তিন বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলাম। সেখানে সুগন্ধা পয়েন্টে পরিচয় হয় ইকবাল নামে ছেলেটির সঙ্গে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফা গল্প করে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করি। পরে তার কথায় সন্দেহ হলে মূল ঘটনা জিজ্ঞেস করি। এরপর সে আমাদের সঙ্গে পুরো ঘটনাটি শেয়ার করে। তারপর রাত ৮টার দিকে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
তারপর পুলিশ তাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত ইকবালকে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়া দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভিন্ন থানায় আট মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়ে। এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।