পাথরঘাটায় প্রেমিকের মায়ের গালমন্দ সইতে না পেরে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের ইতি! প্রেমিকার সঙ্গে জোর করে দেখা করতে চাইলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রেমিকের মা। অবেশেষে প্রেমের শেষ পরিণতি হলো মৃত্যূ।
বুধবার (২০ অক্টোবর) বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্য গুদামের পশ্চিম পাশে বসত বাড়িতে অভিমান করে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে মোসা. তুবা (১৫)। তুবা একই এলাকার সেন্টু মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, উপজেলার লাকুরতলা গ্রামের আলমগীর হোসেরে ছেলে মো. সজীবের (১৯) সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তুবার। পারিবারিকভাবে আলোচনা করেই প্রেমের সম্পর্কের ইতি টানেন তারা। এক পর্যায় প্রেমিক সজিরে প্রেমের স¥ৃতি ভুলতে না পেরে তুবার সাথে দেখা করতে বাড়িতে আসে। এতে বাধা দেয় সজিবের মা মাজেদা বেগম। পরে সজিবের মা মাজেদা বেগম তুবাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করলে অভিমান করে নিজের ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তুবার মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল করে বরগুনা মর্গে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে।
তুবার ছোট দুলা ভাই সাদ্দাম হোসেন বলেন, সজিব মঙ্গলবার তুবার বাড়িতে এসে তুবার সাথে দেখা করতে চাইলে মা নাজমা বেগম বাধা দেয়। পরে জোর করে দেখা করতে চায় সজিব। বুধবার সকালে সজিবের মা মাজেদা বেগম তুবার বাড়িতে এসে তুবাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করলে লজ্জায় সবার অগোচরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
সজিবের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনেক আগে সে সম্পর্ক তারাই বন্ধ করে দিয়েছে। উল্টো তুবা আমার স্ত্রীর কাছে এসে সজিবের সাথে কথা বলতে চাইলে আমার স্ত্রী বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমার ছেলের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ।
পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল বাশার বলেন, মরদেহ সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।