পাথরঘাটায় আড়াই’শ শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি ক্লাসরুম
পাথরঘাটা প্রতিনিধি,
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরশহরের ৯১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বেহাল দশা। বিদ্যালয়টির ৩টি ক্লাসরুমে গাদাগাদি করে প্রতিদিন ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে।
এই বিদ্যালয়টি ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমসাময়িক সময়ে প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো আধুনিকতা ও সৌন্দর্যের ছোঁয়া পেলেও কোনো ধরনের পরিবর্তন হয়নি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
স্কুলটি ঘুরে দেখা যায়, ছোট ছোট ক্লাসরুমে পুরাতন ও ভাঙ্গাচুরা বেঞ্চে বসে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে। কিছু সাজানো আর কিছু ক্লাসরুমেই জড়োসড়ো করে রাখা। ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের একমাত্র খেলার মাঠটিও পানিতে ডুবে আছে। একারণে অ্যাসেম্বলি সহ খেলাধুলা করতে পারছেনা তারা।
স্কুলের শিক্ষার্থী রোজী, পারভেজ, রাশেদ, হাসান জানান, করোনাকালীন সময়ে সরকার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে স্কুল খোলা হলেও আমাদের বিদ্যালয় পর্যাপ্ত রুমের ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে। স্কুল মাঠ পানিতে তলিয়ে থাকায় খেলাধুলাও করতে পারতে পারছিনা।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফিরোজা আক্তার বেবী জানান, এ বিদ্যালয়ে ২৫০ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। যা তিনটি শ্রেনী কক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব না। সে কারনে করোনার আগে দুই শিফটে ক্লাস নিতাম। তাতেও গাদাগাদি করে বসাতে হতো।
প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন কবির জানান, একদিকে ক্লাস রুমের সংকট অপরদিকে অবকাঠামো ঘাটতি। স্কুল কোন স্টোর রুম না থাকায় অতিরিক্ত ও অকেজো মালামাল ক্লাসরুমে ও লাইব্রেরীতে রাখতে হচ্ছে । সব মিলিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ঘাটতি রয়ে যায়। একটি নতুন ভবন হলে পাঠদানে যেমন সাচ্ছন্দ্য হবে তেমনি ছাত্র ছাত্রীরাও মনোযোগী হবে।
এবিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা টি এম শাহ্ আলম জানান, বিষয়টি আমরা ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। অতি শীঘ্রই নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।