পাথরঘাটায় ফাঁ-স দিয়ে আত্মহত্যা, চিরকুট লেখা ‘আমাকে দাদুর বাড়িতে দাফন কইরো’
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বরগুনার পাথরঘাটায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে রাজিয়া সুলতানা (১৮) নামে এক তরুণীর আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠায় পাথরঘাটা থানা পুলিশ। এরপর থেকে আত্মহত্যার পিছনের কারণ উদঘাটনের চেষ্টায় অনুসন্ধান করে থানা পুলিশ।
মৃত রাজিয়া সুলতানা বরগুনার তালতলী উপজেলার লাউপাড়া এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে।
রাজিয়া সুলতানার খালা লাবনী আক্তার জানান, রাজিয়া সুলতানার চাচতো ভাই রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে তাকে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে দেড়মাস পূর্বে রাজিয়াকে পাথরঘাটায় তার বাসায় রাখা হয়। সবশেষে বুধবার বিকেলে রফিকুল রাজিয়াকে ফোন দিয়ে নানা অশ্লীল ভাষায় গালিগালি করে। একারণে ঘৃণায় আত্মহত্যা করতে পারে বলে জানান রাজিয়ার খালা লাবনী। রফিকুল ইসলাম বরগুনার চালিতাতলির বাসুগি গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।
তবে শুক্রবার রাজিয়া সুলতানার লেখা চিরকুট উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ গভীর অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুন। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে তালতলীতে দাফন করা হয়েছে। তার স্বজনরা পাথরঘাটায় ফিরে এলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান হবে।
উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা ছিল, ‘ যদি পারো আমাকে মাফ কইরো, আর ওরে কিছু বইলোনা, আমি ওরে খুব ভালোবাসি, আমার কছম ওরে কিছু বলবা ওর নাম কারো কাছে বলবানা, আর আমাকে দাদুর বাড়িতে দাফন কইরো।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায় রাজিয়ার সাথে রফিকুলের প্রেমের সম্পর্কে পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত গড়ায়। তবে তা আবার ভেঙে যায়। এ কারণে রাজিয়া কে পাথরঘাটায় পাঠায় পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে মাঝে মাঝে রাজিয়ার সাথে রফিকের যোগাযোগ হতো। সব শেষ বৃহস্পতিবার আত্মহত্যার আগেও রফিকের সাথে কথা হয় রাজিয়ার। তবে কি কথা হয়েছে তা যানা যায়নি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।