পাথরঘাটায় মুখ বেঁধে যুবককে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম
বরগুনার পাথরঘাটায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাতের আধারে মো. রুবেল (৩৪) নামে কাঠমিস্ত্রিকে রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের পাথরঘাটা মহাবিদ্যালয় মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক প্রত্যক্ষদর্শীরা পাথরঘাটা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রুবেল পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের খলিলুর রহমানের ছেলে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আবুল বাশার।
মোহাম্মদ বশির, রিপন, জসিমসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো দোকানের কাজ সেরে বাসায় যাওয়ার পথে রাত পৌনে এগারোটার দিকে পাথরঘাটা কলেজ গেটে পৌঁছামাত্রই তিন যুবক পিছন থেকে মুখ বেঁধে রুবেলকে এলোপাতাড়ি রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে আসলে অপরাধিরা মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে রুবেলের মাথায় প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং রক্তক্ষরণ হয়। এছাড়াও তার হাত ও পায়ে একাধিক জায়গায় ভেঙ্গে যায়। মাথায় ৭টি সেলাই দেয়া হয়।
রুবেলের বড় ভাই কাশেম রাসেল বলেন, ঘটনার একদিন আগে রুবেলের সাথে বিএফডিসি মৎস আরতদার মো. মারুফ এর তর্ক হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর, ওসি এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হয়। কিন্তু এর জের ধরে মারুফের নির্দেশে মারুফ ও তার ছেলে আলামিন সহযোগীদের নিয়ে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে আমার ভাই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যতটুকু জানতে পেরেছি পূর্ব বিরোধের জের ধরেই রুবেলের উপর হামলা করা হয়েছে। আমরা পূর্বের বিরোধ নিষ্পত্তি করে দিয়েছি তার পরেও এমন হামলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ অপরাধীরা কোনভাবেই পার পাবে না।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, মাথায় প্রচন্ড আঘাত রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। তবে ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত না হলে স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে একাধিকবার মারুফের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।