একটিতে সাপ! অপরটি ভাঙাচোরা! পাথরঘাটা বালিকা বিদ্যালয়ের দুর্ভোগের শেষ কোথায়?
বরগুনার পাথরঘাটার প্রানকেন্দে অবস্থিত পাথরঘাটা আদর্শ পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের দুটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। একটি পাথরঘাটা থানা প্রাচীর সংলগ্ন যা হাঁটু পানিতে তলিয়ে। অপরটি পৌর ভবন লাগোয়া যা ভাঙ্গাচোরা কর্দমাক্ত।
দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এ বিদ্যালয়ের হাজার খানেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ভোগান্তি বেশ কয়েক বছরের। বিভিন্ন স্থানে বিষয়টি জানালেও এর কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থানার প্রাচীর সংলগ্ন প্রবেশদ্বারটি উপজেলা ভূমি অফিসের পিছনের সরকারি খাশখতিয়ানে পুকুরের পানিতে তলিয়ে আছে। অপরটি মেরামতের অভাবে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে আছে। স্কুলের পক্ষ থেকে একটি প্রবেশ দ্বার বন্ধ করে দেয়ায় ভাঙ্গাচুরা কাদামাটি পেরিয়েই শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। যা সামান্য একটু বেখেয়াল হলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে কচিকাঁচা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
স্কুলের শিক্ষার্থী স্বর্নালী, সুকলা, আফসানা মিমি জানান করোনার আগে যখন স্কুল খোলা ছিল তখন থানার পাশের ডুবন্ত রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসতাম তখন রাস্তার উপরে বড় বড় সাপ দেখা যেত। সে কারণে ভয়ে আমরা প্রায় আধা কিলোমিটার ঘুরে পৌরসভার পাশের রাস্তা থেকে স্কুলে প্রবেশ করতাম। কিন্তু এ রাস্তা দিয়ে এখন হেঁটে যাওয়া দুস্কর হয়ে গেছে। তারা জানতে চাচ্ছে এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়?
স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম রেজা জানান, থানার পাশের গেটটি তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। কারন ঐ রাস্তাটি পানির নিচে থাকায় প্রায় সময় সাপ দেখতে পাওয়া যায়। অপরদিকে অন্য রাস্তাটির ডালাই ভেঙ্গে উঠে গিয়ে এখন কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সত্যতা স্বীকার করে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ জানান, আমি সরেজমিন ঘুরে দেখেছি। জরুরী ভিত্তিতে এটি সংস্কার করা দরকার।
এ বিষয়ে বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমন বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। অতি শীঘ্রই এই ভোগান্তি লাঘব হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।