শেষ সময়ে দর্জির দোকানিদের ব্যাস্ত সময় পার
মোঃ আবু হেনা রানা।পাথরঘাটা বরগুনা (প্রতিনিধি).
করোনাকালে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেড় বছর আগে বানানো স্কুল ড্রেস অনেক ছোট হয়ে গেছে। ফলে বছরের শেষের দিকে এসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নতুন করে স্কুল ড্রেস বানাতে হচ্ছে। এ কারণে বরগুনার পাথরঘাটার সকল দর্জির দোকান গুলো ব্যাস্ত সময় পার করছে।
পাথরঘাটা পৌর শহরে প্রায় দুই ডজন কাটা কাপড়ের দোকান রয়েছে। প্রত্যেক দোকানেই চলছে স্কুল পোশাক তৈরির কাজ। পাশাপাশি বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তারা ও তাদের বাসাবাড়িতে স্কুল পোশাক বানাচ্ছেন বলে জানা যায়। পাথরঘাটা শহরের প্রবীন কাটা কাপড় ব্যবসায়ী দেলাওয়ার হোসেন জানান, প্রতিবছর বছরের শুরুতে যে ভির পরে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি চাপ পরেছে বছরের শেষ সময়ে। আরেক ব্যাবসায়ী ফারুক হোসেন জানান চুরান্ত ভবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ নির্ধারণ হলে সে থেকেই অভিভাবকরা নতুন স্কুল ড্রেস বানাতে দিয়েছে। এখন শেষ সময়ে এসে তাদের চাপ একটু বেশি বলেই জানান ফাইজুল মুন্সি, মাসুম বিল্লাহ, সবুর খানসহ একাধিক ব্যাবসায়ী।
কয়েক জন অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় করোনা মহামারির কারণে দেড় বছর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। এতে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে অনলাইনে ক্লাস করা ছাড়া সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ ছিল না, যার ফলে দেড় বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালের প্রথম দিকে বানানো স্কুল ড্রেস ও জুতা আর পরা হয়নি। এত দিন পর সেগুলোও ছোট হয়ে গেছে।
পাথরঘাটা তাসলিমা মেমোরিয়াল একডেমির ২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী আফিয়া বিনতে মামুন স্কুল খোলার খবরে অনেক খুশি। তিনি বলেন, স্কুল ড্রেস, জুতা এগুলো সবই নতুন কিন্তু অনেকটা ছোট হয়ে গেছে। ফলে বাবাকে বলেছি নতুন ড্রেস বানিয়ে দিতে।
অভিভাবক নাসরিন আক্তার জানান, দেড় বছর পর স্কুল খুলছে, তাই শিশু শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি আনন্দের। কারণ তারা এই দীর্ঘ সময়ে বাড়িতে থেকেছে। এখন তাদের স্কুল খুলছে বলে নতুন স্কুল ড্রেস ও জুতা পরতে চায়। আগের স্কুল ইউনিফর্ম ও জুতা নতুন, তবে তা দেড় বছর আগের হওয়ায় আর পরা যাচ্ছে না। এখন বায়না ধরেছে এসব নতুন কিনে দিতে হবে। তাই বছর শেষের দিকে নতুন পোশাক বানিয়ে দিতে হচ্ছে।