পাথরঘাটা লোড ভােল্টেজের কারণে দুর্ভোগের শেষ নেই সাধারণ মানুষের
বরগুনার পাথরঘাটায় পল্লী বিদ্যুতের কম ভােল্টেজের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই উপজেলার কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ । দিনের প্রায় অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমস্যা সমাধানে চরম উদাসীন বলে ভুক্তভােগীরা অভিযোগ করেছেন ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় , কম ভােল্টেজের কারণে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাচ্ছে । এ কারণে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশগুলাে সারাতে অনেকে ভিড় জমছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস মিস্ত্রীর দোকানে ।
গ্রাহকেরা জানান, কম ভোল্টেজে দিনে বেলা টিভি , ফ্রিজ , ফ্যান চললেও রাতের বেলায় চালানাে যাচ্ছে কিছু। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ভােল্টেজ কম থাকে । ফ্যান খুব আস্তে ঘােরে রাতে ঘুমানো যায় না । গরমে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । কম ভােল্টেজের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলােতে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন ।
এদিকে আবার সামন্য বৃষ্টি ও বাতাস হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এ উপজেলায় । বিষয়টি নিশ্চিত করে পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রেড ওয়ানের লাইন ম্যান শাহিন মিয়া বলেন , “ গ্রাহক বৃদ্ধি ও গ্রিড লাইনের দূরত্বের কারণে পিক আওয়ারে একটু ভােল্টেজ কম থাকে । ভারী বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি না চালানোর পরামর্শ দেন তিনি ।
প্রকৌশলী আবু জাফর মােহাম্মদ সালেহ বলেন , “ যেখানে একটি মােটর পাম্প ২২০ ভােল্টে এক ঘণ্টা চললে এক ইউনিট হয় , সেখানে কম ভােল্টেজের কারণে বিশ মিনিটে একইউনিট হয়ে যাচ্ছে । কম - ভােল্টেজের কারণে গ্রাহককে অতিরিক্ত বিল গুনতে হচ্ছে ।
পাথরঘাটা সাবষ্টেশনের এজিএম ইকবাল মাহদী বলেন , “ জাতীয় গ্রিড লাইন পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে ভান্ডারিয়ায় অবস্থিত । জাতীয় গ্রিড লাইনে ভােল্টেজ কম থাকায় এর প্রভাব পাথরঘাটাতেও পড়ছে । যদি পার্শ্ববর্তী উপজেলা মঠবাড়িয়াতে জাতীয় গ্রিড লাইন স্থাপন হয় তাহলে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।