পাথরঘাটার জাহিদ হাসান রাজু সহ তিন জঙ্গি আটক
নিষিদ্ধ সংগঠন নব্য জেএমবির ‘বোমা তৈরির কারিগর’ জাহিদ হাসান রাজু ওরফে ফোরকানসহ তিনজঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন সাইফুল ইসলাম মারুফ ওরফে বাসিরা ও রুম্মান হাসান ফাহাদ ওরফে আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার রাতে কাফরুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে বিস্ফোরক, জিআই পাইপ, রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, লোহার বল ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ফোরকান নব্য জেএমবির প্রধান প্রশিক্ষক ও বোমা প্রস্তুতকারক। ফোরকান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে অনার্স শেষ করলেও মাস্টার্স শেষ করেনি। ২০১৬ সালে তৎকালীন জেএমবির আমির মুসার মাধ্যমে নব্য জেএমবিতে ঢোকে।
রসায়নের ছাত্র হওয়ায় ফোরকান অল্পদিনে গ্রেনেড ও বোমা বানাতে দক্ষ হয়ে ওঠে এবং নিত্য নতুন কৌশলে আইইডি প্রস্তুত করে। ফোরকান এই সংগঠনের যারা বোমা ও গ্রেনেড তৈরি করত তাদেরকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিত। নব্য জেএমবির শীর্ষ জঙ্গিরা যখন গ্রেপ্তার হচ্ছিল, ফোরকান তখন আত্মগোপনে চলে যান জানিয়ে তিনি বলেন, আবার সংগঠনকে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল। এর অংশ হিসেবে অনলাইনে সংগঠিত করার পাশাপাশি বাছাইকৃত সদস্যদের টাইম বোমা ও রিমোট কন্ট্রোল বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিত সে। ফোরকান একাধিকবার কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে বৈঠকেও করেছেন বলে জানান সিটিটিসি প্রধান। আসাদুজ্জামান বলেন, ফোরকান পুলিশকে জানিয়েছে বড় বড় কেমিক্যাল কোম্পানি থেকে বিস্ফোরক নিয়ে আইইডি বানানো হত। ড্রোন বানাতেও দক্ষ ফোরকান বিস্ফোরকবহনকারী ড্রোন দিয়ে কোনো কোনো জায়গায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও জানান তিনি। নারায়ণগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশ বক্সসহ অনেক হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ফোরকান। গ্রেপ্তার সাইফুলও বোমা তৈরিতে দক্ষ এবং ফোরকানের মাধ্যমে শিখেছে বোমা বানানো। গ্রেপ্তার জঙ্গিরা ছিনতাই ও ডাকাতির মাধ্যমে তহবিল তৈরি করার পরিকল্পনায় টঙ্গীতে একটি বাসা ভাড়া নিয়েছিল বলে জানান তিনি। তিন জঙ্গির বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে।