নীলিমা পয়েন্ট ছোট্ট দোকানী রফিকুল ইসলাম
ছোট এই দোকানির নাম মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বয়স প্রায় পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। করোনা মহামারীর কারনে আগের মত হয়না দিনমজুরের কাজ। তাই বাড়ির সামনে স্ত্রী তাসলিমার সহযোগিতায় দিয়েছে ছোট্ট একটি দোকান। সেই দোকান ছোলা মুড়ি ও চা, পানের বিক্রি করে তাদের পরিবার চলে। তার বাড়ি হচ্ছে বরগুনার পাথরঘাটায় পৌরশহরের বিষখালি নদীর তীরবর্তী নীলিমা পয়েন্ট এলাকায়।
এই নিলিমা পয়েন্টে সারাদিনের ক্লান্তি শেষে নানা বয়সের মানুষের আনাগোনা চলে শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। করোনা মহামারীর ক্লান্তিলগ্নে কিছুটা জনসমাগম কম হয় এ পয়েন্টে। এর মধ্যে তার ব্যাবসায় বাগড়া দিচ্ছে বৈরী আবহাওয়া।
নিলিমা পয়েন্টে ঘুরতে আসা আকন মোহাম্মদ বশির, সোহেল মিয়া, শাকিল আহমেদ জানান, আমরা এখানে ঘুরতে এলে রফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে তৈরি করে আনা ছোলা-মুড়ি, আমড়া বানানি সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করে। এখানে ঘুরতে আসা সকলেই এই খাবার খেয়ে থাকি। তবে আকাশে মেঘ দেখলেই রফিকুল ইসলামের মন ছোট হয়ে মুখটি কালো হয়ে যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম জানান, ঘরে তার বৃদ্ধ মা ও স্ত্রী রয়েছে। এই ছোট্ট দোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই মায়ের ঔষধ ও তিন বেলা খাবার খেয়ে থাকি। মেঘ বৃষ্টি হলে এখানে কোন লোক আসেনা।
আকাশের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করেই চলে তার জীবন জীবিকা। তিনি জানান, প্রতিদিন একহাজার টাকার মালামাল তৈরি করে দোকান সাজাই। এ দিয়ে ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা বিক্রি করি। অনেক সময় সকালে আবহাওয়া ভালো থাকলেও বিকেলে আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়। তখন এখানে কোন লোক আসেনা। তখন তৈরি করা খাবার নষ্ট হয়ে যায়। এজন্যই মেঘ দেখলে মনটা খারাপ হয়ে যায়।