পাথরঘাটায় প্রতিষ্ঠানের গাছ আত্নসাতে বাধাঁ, ১৫ই আগস্টকে ইস্যু করে স্থানীয়দের হয়রানী
বরগুনার পাথরঘাটায় হাড়িটানা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার ফলজ ও বনজ গাছ কাটতে বাধাঁ দেয়ায় স্থানীয়দের ১৫ই আগস্টের ব্যানার ছেরার হুমকি দিয়েছেন মাদ্রাসা সুপার মো. নুরুল আমিন।
সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হাড়িটানা এলাকার মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উল্টো মাদ্রাসা সুপার মাও. নুরুল আমিন ১৫ই আগস্টের (শোক দিবস) ব্যানার ছেরার অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় জাকির মুন্সি, নাসির ডাক্তার, কাইউম, কালাম মুন্সি, বারেক সিকদার, খলিল মুন্সিসহ একাধীক ব্যাক্তি মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানান, গতকাল সোমবার দুপুরের সময় কিছু লেবার কাছের ডাল কাটার জন্য মাদ্রাসায় আসেন। তারা এসে আমড়া গাছ, রেইনট্রি গাছ ও মেহগনি গাছের ডাল কাটতে থাকে। তখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করতেই তারা জানান, মাদ্রাসা সুপারের বাড়িতে রান্না করার জন্য কিছু লাকরি লাগবে তাই কাটতে বলা হয়েছে। এ সময় তারা বাধাঁ দিলে মাদ্রাসা সুপার নুরুল আমিন এসে তাদেরকে গাল-মন্দ করেন এবং গাছ কাটতে বলেন। তখন আবারো বাধাঁ দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে মাদ্রাসা সুপার মাদ্রাসা ভবনে উঠে ১৫ই আগস্টের (শোক দিবস) ব্যানার খুলে নিয়ে চলে আসেন। এখন সুপার বিভিন্ন যায়গায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে তারা নাকি শোক দিবসের ব্যানার ছিরেছে। আমরা তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার মো. নুরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি মাদ্রাসার ১৫ই আগস্টের জন্য ব্যানার টানানোর জন্য গেলে আমাকে হুমকি দেয়। এর প্রতিবাদ করলে আমাকে গাছের চ্যারা দিয়ে পিটায়। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, মৌখিক অভিযোগ সুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে গাছ কাটা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, সেটাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানাচ্ছেন তিনি। আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত আসেনি, লিখিত অভিযোগ আসলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মাদ আল মুজাহিদ মুঠোফোনে জানান, আমার কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। অভিযুক্তদের ডাকা হয়েছে, তদন্ত করে প্রোয়জনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তবে ব্যানার ছেরার কথা আমাকে জানাননি তিনি।