লকডাউনে থামছেনা এনজিওর কিস্তি আদায়

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২১

লকডাউনে থামছেনা এনজিওর কিস্তি আদায়

আশরাফুল ইসলাম সাকিল প্রতিনিধি

বাংলাদেশে চলছে লকডাউন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারনে সরকারি সিন্ধান্তে টানা ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। কোন রকম ঘর থেকে বাহিরে বের হতে পারছে না মানুষ। কাজ কর্ম ফেলে অবসরে কোন রকম দিন কাটাছে সাধারণ মানুষ । হঠাৎ এই লকডাউন পড়ায় বিভিন্ন এনজিওর কিস্তি নিয়ে পাথরঘাটা উপজেলার নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে।

যেখানে মানুষকে ঘরে খাবার জোগাড় করতে হিমশিমে পড়তে হচ্ছে। সেখানে তারা কিস্তি কিভাবে দেবেন। ইতি মধ্যে অনেক এনজিওর কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন কিস্তি আদায় করতে। অনেকে কিস্তি দেওয়া নিয়ে করছেন ঝামেলা। ইতিমধ্যে কিস্তির ভয়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানায় গেছে, পাথরঘাটা উপজেলার শিক্ষক,কৃষক,ভ্যান চালক,দিন-মুজুর,জেলে ও ছোট-বড় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সহ হাজারও মানুষ প্রয়োজনে বিভিন্ন শর্তে বিভিন্ন এনজিওর থেকে চড়া সুদের কিস্তিতে টাকা তুলেছেন। পরে সেই টাকা ধীরে ধীরে শোধ করেন বিভিন্ন ভাবে। কিন্তু এখন করোনা ভাইরাসের লকডাউনে কাজ কর্ম সব বন্ধ থাকায় কিস্তি দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ।

এনজিওর এর সাথে যুক্ত থাকা বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, করোনার প্রথম ধাপে কিস্তির ব্যাপারে নির্দেশনা ছিল সরকারী ভাবে। কিন্তু এ লকডাউনের সময় এখনো কোন নির্দেশনা না পাওয়ার কারণে, কিস্তি আদায় করা নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।এ সময় কিস্তি দেওয়া নিয়ে গ্রাহকরা বিভিন্ন ঝামেলায় জড়াচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের এক ক্ষুদ্র দোকানী বলেন,আমি এক এনজিও থেকে ৮০ হাজার টাকা লোন তুলেছিলাম ঈদকে সামনে রেখে দোকানে মাল তোলার জন্য। লকডাউনের ভিতরে বাজারের দোকানপাট বন্ধ থাকায় একটি কিস্তি দিতে দেরি হয়েছে। তারপরও এদের কোন ছাড় নেই। এ সময় তিনি আরো বলেন,মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিকাশ নাম্বার দিচ্ছে বিকাশ করে দিতে বলছেন ।

যুব রেড ক্রিসেন্ট সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন জানান, এই লকডাউনে পাথরঘাটার সাধারণ মানুষ কিভাবে দুবেলা দুমুঠো কিভাবে খাবার খাবেন , সেখানে বিভিন্ন এনজিওর কিস্তির চাপ নিয়ে সাধারণ দিন-আনা দিন-খাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন বড় বিপাকে। তবে একাধিক এনজিও গ্রাহকদের জোর দাবি এই লকডাউনের সময় কিস্তি আদায় কিছুদিন বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ সহ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

পাথরঘাটার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এনজিওর ম্যানেজারদের উদ্দ্যেশে বলেন , যারা স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে চায় তাদের কিস্তি গ্রহণ করার অনুরোধ করছি। লকডাউনে সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ লোকজন বাজারে আসতে পারে না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লকডাউনে কারনে বন্ধ। জোর করে কোন এনজিও যদি টাকা নিতে আসে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)