স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যাকারী ঘাতকে ধরিয়ে দিতে পুলিশের পুরস্কার ঘোষণা
পারিবারিক কলহের জের ধরে বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী সুমাইয়া (১৮) ও নয় মাস বয়সী মেয়ে সামিরা আক্তার জুঁইকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সাহিন মুন্সীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ সরকার। এজন্য তিনি গনমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় চেয়েছেন।
অভিযুক্ত ঘাতক সাহিন মুন্সী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানার ডাবল হত্যা মামলা করেছে নিহত সুমাইয়ার বাবা রিপন বাদশা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ সরকার জানান, ঘাতক সাহিন তার স্ত্রী এবং সন্তানকে মেরে লাশ গুম করার জন্য প্রায় ছয় হাত মাটি খুঁড়ে মাটি চাপা দেয়। যা শনিবার সকাল দশটার দিকে পুলিশ মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
এঘটনায় যাতে অন্য কেউ হয়নি শিকার না হয় সেজন্য মূল ঘাতক শাহিন মুন্সী কে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন তিনি। তিনি আরো জানান যেহেতু সারাদেশে লকডাউন চলছে সে ক্ষেত্রে এলাকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘাতকের জন্য কষ্টসাধ্য। এলাকা থেকে বের হওয়ার আগেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে ধরতে চায়। এজন্য গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তা চান তিনি।
স্থানীয় রাজ্জাক বাদশাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। বিয়ের পূর্বে তাদের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে বাচ্চা জন্ম দেয়। এ নিয়ে পাঁচ মাস কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলতে থাকে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে।
তিনি আরো জানান গত বুধবার দুপুরে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে তাদের দাওয়াত ছিল। কিন্তু সাহিন সেখানে যায়নি। দুপুরে দাওয়াত খেয়ে সুমাইয়া তার স্বামীর বাড়িতে আসার পর থেকেই নিখোঁজ হয়। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার থানা পুলিশকে জানালে তারাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়। এরপর থেকেই স্বামী সাহিন লাপাত্তা হয়ে যায়। এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে।
সুমাইয়ার বাবা রিপন বাদশা জানান, বিবাহের পর থেকে তার মেয়েকে নানা ধরনের যতন করেছে শাহিন তিনি তার মেয়ে ও নাতি হত্যার বিচার চান।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর ঘাতক শাহিনের মা শাহিনুর, দাদি জবেদা, ও মামাতো ভাই ইমাম হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।