পাথরঘাটা রাসেল স্কয়ার অবৈধ ফল ব্যাবসায়ীদের দখলে!
বরগুনার পাথরঘাটার রাসেল স্কয়ার। এ উপজেলার ব্যাস্ততম একটি সড়কের নাম।উপজেলার একমাত্র বড় বাজারের আসতে এই সড়ক দিয়েই আসতে হয়। আর এই স্থানটি দখল করে আছে অবৈধ ভ্রাম্যমান কিছু ফল ব্যাবসায়ীরা। তাদেরকে সড়ক ফাকা করে দাড়াতে বললেও তাদের হাতে লাঞ্চিতের শিকার হতে হয়।
আজ সোমবার (১৪ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে ওই সড়কে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে এক ক্রেতা পৌর শহরের রাসেল স্কয়ারে কিছু ক্রয় করার দোকানের সামনে দাড়ালে, তার সামনে কেন দাড়িয়েছে একথা বলে ফল ব্যাবসায়ী বাদশা ও তার দুই ছেলে নয়ন ও ইমরান মিলে লাঞ্চিত করে। পরে তিনি কোন কথা না বলে সেখান থেকে চলে আসেন। তারা সংঘবদ্ধ ভাবে এই ব্যাবসা চালিয়ে আসছেন। তাদের প্রতিবাদ করতে গেলেই উল্টো লাঞ্চিত করছেন সাধারণ মানুষকে।
ওই ক্রেতা জানান, আমি কিছু বুজে ওঠার আগেই সেখানে কেন দাড়িয়েছি এবং তার ফলের ভ্যান মানুষ দেখতে পায়না বলে গাল-মন্দ শুরু করেন। তাদের অত্যাচারে সাধার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাদশা ও তার ছেলেদের কাছে লাঞ্চিতের বিষয়ে চানতে চাইলে তারা উল্টো এ প্রতিবেদককেও লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন।
পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান, রাসেল স্কয়ার পাথরঘাটার প্রান কেন্দ্র। সেখানে ফল ব্যাবসায়ীরা দখল করে রাখবে এটা ঠিক না। তাছারা সাধারন মানুষের সাথে দুর্ব্যাবহারের কথা আমার জানা নেই। আমি এর আগের ট্রাফিক সার্জেন্ট এর সাথে কথা বলেছি। আবারো আমি তাদের সাথে কথা বলবো।
এ বিষয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্দ পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) মো. তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, এরকম খবর আমার জানা নেই। আমি খোজ নিয়ে এখনই সড়ক ফাকা করার ব্যাবস্থা করছি। ট্রাফিক সার্জেন্ট এর ফোন বন্দ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এর আগে যে দায়িত্ব পালন করছেন তার কাছেন ওই ফোন নম্বরটি থাকা তিনি বন্দ করে রেখেছেন।