জমি নিয়ে বিরোধ পাথরঘাটায় নারীকে হত্যাচেষ্টা, ঘর ভাংচুর
বরগুনার পাথরঘাটায় রেনু বেগম (৬২) নামের এক নারীকে হত্যা চেষ্টা ও ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই নারীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
শুক্রবার (২১ মে) সন্ধা ৬টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বড় টেংরা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
রেনু বেগম একই এলাকার মো. আবুল কালাম মুন্সির স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী বেলাল ও ওয়াহেদ আলী জানান, আসরের পরে কিছু ছেলেরা এসে কৌশলে ওই ঘরের পুরুদের ঘর থেকে বের করে রাস্তায় নিয়ে যায়। ওই ঘরের মধ্যে রেনু বেগম বসে থাকে। তাকে টেনে নামাতে না পেরে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। তাছারা বাড়িরর সীমানার গাছগুলো কেটে ফেলে তারা।
রেনু বেগমের স্বামী আবুল কালাম মুন্সি জানান, আসরের নামাজের কিছুকক্ষন পরেই আমাদের পাশ্ববর্তী কিছু লোক এসে কৌশলে ঘর থেকে বাহিরে বের করে কিছু বুজে ওঠার আগেই ছলেমান, হাবিব, শাহিন, আব্দুর রব ও হামেদসহ প্রায় ১০ থেকে ১২ জন লোক দেশীয় অস্ত্র রামদা, জিআই পাইপ ও লোহার রড নিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে রাখে। তখন ঘরটি সম্পূর্ন ভেঙ্গে ফেলে দেয় এবং ঘরের মধ্যে থাকা নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজড়ত্র নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
তিনি আরো জানান, আমি যে জমিতে ঘর তুলে বসবাস করে আসছি ওই জমি আমার স্ত্রীর। আমার প্রতিপক্ষরা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার স্ত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত ছলেমান মারধরের কথা স্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে সালিশের মাধ্যমে সমাধান হয়ে যাবে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হাতে এসেছে। তদন্ত চলছে, সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।