পাথরঘাটায় বাবার মারধরে আহত মা, ওষুধ আনতে গিয়ে হামলার শিকার ছেলের মৃত্যু
পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী আমেনাকে মারধর করেন হারুন আকন। অসুস্থ মায়ের জন্য বাজার থেকে ওষুধ আনতে যায় ছেলে মিজান আকন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে মিজান কেও মারধর করেন হারুন আকন তার ভাই নুর আকন, ইসমাইল আকন সহ অন্যরা।
ঘটনাটি ঘটেছে চলতি মাসের ৫ তারিখে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয় মিজান আকন। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায় সে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তার মৃত্যু হয়। খুলনায় চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথে পাথরঘাটা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন বলে নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। এদিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্টে মিজানের মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ রয়েছে।
মিজানের শশুর কবির মিয়া ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায় ৫ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিজান আকনের বাবার বসত বাড়ির উঠানে পারিবারিক কলহের জেরে এবং পদ্মা বাজারের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে মিজানের বাবা হারুন আকন, চাচা নূর আলম আকন, ভাই জাকারিয়া আকন ও ইসমাইল মুন্সি মিলে একত্রে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। তখন রক্ত বমি করে মিজান। গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মিজানের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার খুলনা সরকারী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় তার মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, রাত দশটার দিকে লাশ খুলনা থেকে পাথরঘাটা থানায় নিয়ে আসে। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।