সাগরে জেলে বহরে ট্রলিং জাহাজের হামলা ৫ লাখ টাকার জাল ও মাছ লুট, আহত ১৬
পাথরঘাটা থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় এফবি মা-বাবার দোয়া নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারে হামলা চালায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা এফভি সালমান-৩ নামে একটি ট্রলিং (ফিশিং ভেসেল) এর জেলেরা। এ সময় ১৬ জেলেকে আহত করে অন্তত ৫ লাখ টাকার জাল, ৫০ হাজার টাকার মাছ লুটে নিয়ে যায়।
আজ গভীর সমুদ্র থেকে এসে আজ বুধবার (৫ মে) দুপুরে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসে এফবি মা-বাবা ট্রলারের মালিক ও মাঝি মো. ফিরোজ মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে গভীর সমুদ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য যান পাথরঘাটা উপজেলাধীন চরদুয়ানী ইউনিয়নের খলিফারহাট গ্রামের মো. ফিরোজ মিয়ার মালিকানা এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারসহ ১৬ জেলে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে অপেক্ষা করছেন জেলেরা। রাত ৮টার দিকে এফভি সালমান-৩ নামে একটি বড় ট্রলিং জাহাজ (ফিশিং ভেসেল) ৫ লাখ টাকার মুল্যের প্রায় ৫ হাজার হাত জাল কেটে মাছ সহ লুটে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা ১৬ জন জেলে চিৎকার দিলে জাহাজে থাকা কামোট মাছ গায়ে মেরে আহত করে। এ সময় তাদেরকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মালিক ও মাঝি মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার জাল ও ৫০ হাজার টাকার মাছ লুটে নিয়ে যায় জাহাজের জেলেরা। এ সময় আমরা চিৎকার দিলে ওই জাহাজে থাকা বড় বড় কামোট মাছ আমার গায়ে মেরে আহত করে। এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন রকমের হমকিও দেয়।
এ বিষয় ফিশিং ভেসেল এফভি সালমান-৩ এর মালিক মো. জাকির হোসেনের ০১৭১৩১১২১৩৩ নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘাটে এসে জেলেরা ঘটনা জানিয়েছেন। আমরা তাৎনিক ওই মালিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা অব্যহত রাখছি। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ট্রলার মালিক সমিতি ও ফিশিং ভেসেল মালিক সমিতির সাথেও যোগাযোগ করছি।