পাথরঘাটায় ছেপারা খুঁজতে গিয়ে পেল মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ
পাথরঘাটায় ছেপারা খুঁজতে গিয়ে মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় চার বছরের শিশু সন্তান সাইমুন। তার ডাক চিৎকারে দাদী, মক্তবের হুজুর সহ স্থানীয়রা ছুটে এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেল্লাল মিয়ার বাড়িতে সকাল সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম জেসমিন। তিনি পার্শ্ববর্তী উপজেলা মঠবাড়িয়ার সোহরাব মাতুব্বর মেয়ে। এবং নাচনাপাড়া ইউনিয়নের আফজাল হোসেনের ছেলে বেল্লাল এর স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে বেল্লাল এর দাদীর জন্য বাড়িতে মিলাদ অনুষ্ঠান হয়। এতে বেল্লাল মিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকেও দাওয়াত করা হয়। কিন্তু তারা বিভিন্ন কারণে না আসতে পারায়, মিলাদের তাবারক শ্বশুরবাড়ি মঠবাড়িয়ায় নিয়ে যান বেল্লাল। রাত বেশী হওয়ায় বেল্লাল শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করেন। এসময় বাড়িতে বেল্লালের স্ত্রী জেসমিন ও চার বছরের ছেলে সাইমুন ছিলেন।
স্থানীয় সোলায়মান জানান সকালে বেলালের ছেলে সাইমুনকে ছেপাড়া পাড়াতে হুজুর আসে। এসময় ভিতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। সাইমুন চেয়ার দিয়ে দরজা খুলে হুজুরকে ঘরে বসিয়ে ছেপারা খুঁজতে গিয়ে দেখা ঘরের দোতালায় আড়ার সাথে রশিতে ঝুলছে। তখন সাইমুনের ডাক চিৎকারে চিৎকার শুনে বেল্লালের মা পাশের বাড়ি থেকে দ্রুত ছুটে এসে দেখেন তার পুত্রবধু গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। তিনি জীবিত আছে মনে করেন মক্তবের হুজুর ও স্থানীয়দের সহায়তায় রশিখুলে নামিয়ে দেখেন অনেক আগেই মারা গেছে।
বেল্লাল জানান রাতে জেসমিনের সাথে জেসমিনের বাবার ফোনে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে কোন বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে তা তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেননি। সকালে আমি শশুর বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে আসার পথে জেসমিনের গলায় ফাস দিয়ে মারা যাওয়ার খবর শুনে দ্রুত বাড়িতে ছুটে আসি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।