বাঁচতে চায় পাথরঘাটার শারমিন, টাকার অভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা!
বয়স কেবল ১৪ বছর, এখনো অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি। একটু ভুল আর অসাবধানতায় শারমিনের জীবন নিয়ে অনিশ্চিয়তা রয়েছে। একটি ফুটন্ত গোলাপ আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
দিনমজুর বাবা ইউনুছ পহলানের একমাত্র মেয়ে শারমিন। দিনমজুর বাবার এখন চোখের পানি ছাড়া আর কিছুই নেই। একদিকে মেয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে অন্যদিকে একমাত্র বোনকে বাঁচানোর আর্তনাদ এলাকায় মানুষকে কাঁদায়! শারমিন এখন সাভার এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। প্রথম দফায় অস্ত্রোপচারের জন্য আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা যায়, বুধবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে শারমিনের নানি ফাতেমা বেগমের বাগানের আম গাছ থেকে আম পারার জন্য শারমিনকে গাছে উঠতে বলে। গাছে উঠার পড়ে প্রায় ৩০ হাত উপর থেকে পরে মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। তাৎণিক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে শারমিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎণিক ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
শারমিনের বাবা ইউনুছ পহলান বলেন, আমি ছিলাম কাজে। ঘরে আমার স্ত্রী শারমিনের চিৎকার শুনে গাছের নিচে গিয়ে মেয়েকে পরে দেখে। আমার স্ত্রীকে দেখে মেয়ে বলে’ আমাকে আজরাইল নিতে আসছে। ওই আসছে ওই আসছে’ কিছুণ পর মাটি থেকে তাকে দাঁড় করাতে গিয়ে আবার পড়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে বর্তমানে মৃত্যুশয্যায়, চিকিৎসক বলেছেন দ্রুত অপারেশন করতে না পারলে এই মেয়ে কে বাঁচানো যাবেনা। অপারেশন করতে হলে প্রায় ৬ লাখ টাকা লাগবে বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
শারমিনের বাবা একজন দিনমজুর,তার মা জন্ম থেকেই পঙ্গু, একমাত্র ভাই আলমাস পহলান একজন মৎস্য শ্রমিক। শারমিনের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলা চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাব্বাড়িয়া গ্রামে। ২০২১ সালে এসএসসি পরীার দেয়ার কথা।
সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:
প্রয়োজনে রোগীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে নিন ০১৭৪৯৪৩৭৬৬৯ ও ০১৭২৮৮৮৯৯৯২ পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার।