পাঁচদিনেও মেলেনি করোনা রিপোর্ট, গুরুতর অবস্থায় ঢাকার পথে মির্জা খালেদ
পাথরঘাটায় করোণা উপসর্গ নিয়ে কয়েকদিন ভুগছেন স্থানীয় সাংবাদিক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ। গত পাঁচ এপ্রিল পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নমুনা দেয়ার পর পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও মেলেনি করোনা রেপোর্ট। পাঁচদিন অপেক্ষা করে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আজ সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন তার সহকর্মীরা।
সাংবাদিক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার পাথরঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি ও বেসরকারি সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা সংকল্প ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক।
মির্জা খালেদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে করোণা উপসর্গ অনুভব করলে হোম করেন্টাইনে থেকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আবুল ফাতাহ এর পরামর্শে চিকিৎসা চলছিল। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শে গত পাঁচ এপ্রিল পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে করোনা পরিক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও কোন ফলাফল না পেয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার কাশি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে চলছে বলে জানান, স্থানীয় সাংবাদিক কাজি রাকিব।
বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সালামাতুল্লাহ খান মুঠোফোনে জানান, বরগুনা জেলার নমুনা গুলো সংগ্রহ করে একত্রে বরিশালে পাঠানো হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নমুনা পরীক্ষা বরিশাল থেকে ভোলা এবং ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সে কারণে রিপোর্ট আসছে একটু বিলম্ব হচ্ছে। এ সমস্যা কবে সমাধান হবে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
তিনি আরো জানান বরগুনা জেলায় ৭২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং ৫০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।