পাথরঘাটায় পাখির সাথে শক্রতা
কবুতরকে আমরা বলি শান্তির পায়রা। শখ করে গ্রামের বাড়িতে এখন লাভজনক গৃহ পালিত পাখি হিসাবে মানুষ লালনপালন করে। তবে এই গৃহ পলিত পাখি যখন খাদ্য অভাবে কৃষকের ক্ষেতখামারে গিয়ে খাবার খায় তখনই কৃষকের শক্র হয়ে দাড়ায়। তেমনি পাথরঘাটায় কবুতরে ডাল ক্ষেত নষ্ট করায় শাহআলম নামের এক কৃষক বিষ দিয়ে শতাধীক কবুতরসহ নানা প্রজাতির পাখি মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বেলা ৫টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মঠেরখাল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মাঠেরখাল গ্রামে ক্ষতিগ্রস্থ কবুতর খামারী সেলিম মোল্লা ও ফিরোজ মিয়া জানান, প্রতি বছর এই সিজনে দক্ষিণাঞ্চলে মূগডাল চাষের বাম্পার ফলন হয়। যখন গাছে ফলন ধরে তখন কবুতরসহ নানা ধরনের পাখি ঝাক বেঁেধ মূগডাল ক্ষেতে বসে খাবার খায়। তখন অসৎ কিছু কৃষক কবুতরসহ ঘুঘু পাখি নিধন করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে। এবছর বৃষ্টি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত গাছে কোন ফল ধরেনী। এ কারণে শাহআলম নামের এক কৃষক কবুতরসহ ঘুঘু মারার জন্য ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে তার ক্ষেতে ছিটিয়ে দেয়। ওই বিষক্ত ধান খেয়ে শতাধীক কবুতর, ঘুঘু ও বাবই পাখিসহ নানা প্রজাতির পাখি মারা যায়। এ সময় আক্রান্ত ঘুঘু পাখি গুলো ধরার সময় শাহআলমসহ কয়েকজনকে গ্রামের লোকজনে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ কবুতর খামারী সেলিম মোল্লা ও ফিরোজ মিয়াসহ ১০/১২ জনে আজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দোষী ব্যাক্তির বিচার চেয়ে মামলা করবেন বলে জানান। তারা ক্ষেত থেকে শতাধীক মৃত কবুতর ও ঘুঘু পাখি সংরক্ষন করেছে।
পাথরঘাটা উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল হক জানান, আমি রাত ১০টার পরে বিষয়টি শুনেছি। আগামীকাল বুধবার সকালে ঘটনা স্থলে গিয়ে ঘটনার যাচাই বাছাই করে পাথরঘাটা উজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাবরিনা সুলতানার সাথে আলোচনা করে বন্যপ্রানী আইনে ব্যাবস্থা নিব বলে জানান।