পাথরঘাটায় শিশুকে বাঁচাতে ব্যাস্ত চাচি, এদিকে চুলার আগুনে ঘর পুড়ে ছাই
উঠানে বসে খেলতে ছিল চার বছর বয়সী শামীম। আর রান্নাঘরে রান্না করছে শামীমের চাচী আসমা বেগম। হঠাৎ উঠানে শামিমকে দেখতে না পেয়ে চাচী আসমা ছুটে যান পুকুরের দিকে। দেখতে পান পানিতে পরে হাবুডুবু খাচ্ছে শামীম। পুকুরে লাফিয়ে পড়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে শামীমকে। এদিকে রান্না ঘরের চুলার আগুনে পুড়ে ভস্ম হয় নিজেদের বসতঘর। তবে শামীম অক্ষত রয়েছে বলে জানান স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদোয়ানী ইউনিয়নের ছহেরাবাদ গ্রামের আসাদুল হাওলাদারের বাড়িতে। আসাদুল একই গ্রামের মৃত রুহুল আমিন হাওলাদারের ছেলে। আসমা আসাদুলের স্ত্রী।
আসমা বেগম জানান, দুপুরের খাবার রান্না করার জন্য আমি রান্নাঘরে ব্যস্ত ছিলাম। আর আমার দেবরের ছেলে শামীম উঠানের কোনায় বসে খেলা করতে ছিল। হঠাৎ তাকে দেখতে না পেয়ে আমি এদিক সেদিক ছুটাছুটি করে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখি পানিতে ডুবে হাবুডুবু খাচ্ছে শামীম। আমি পানিতে নেমে তাকে উদ্ধার করে উপরে নিয়ে আসি। উপরে উঠে দেখি চুলার আগুনে রান্নাঘর পুড়ে বসত ঘরে আগুন জ্বলছে।
পাথরঘাটা স্টেশন ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মারুফ হোসেন জানান আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক দূর থেকে দৌড়ে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই বসতঘর, রান্নাঘর ও একটি কুটার কুড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেল দুটি অক্ষত কোরআন শরীফ উদ্ধার করেছে আমরা।