পাথরঘাটায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে দ্বিতীয় দফায় হামলা, উদ্ধার করলো চিকিৎসক
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসায় দ্বিতীয় দফায় হামলা শিকার হয়েছে বাবা ও ছেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে জরুরী বিভাগের রোগীর চিকিৎসা সেবা রেখে তাদেরকে উদ্ধার করেন চিকিৎসক আয়শা সিদ্দিকা ও মনিরুজ্জামান কনক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের সামনে আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে এঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল আটটার দিকে বাড়ির সামনে প্রথম দফা মারধর করে।
আহতরা হলো পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম হাড়িটানা গ্রামের ইউসুফ আলী খন্দকার, ছেলে ফারুক ও মানিক মিয়া। অভিযুক্তরা হলো একই গ্রামের মালেক মিয়া, তার ছেলে মিরাজ, ফোরকান, রাজু।
আহত ইউসুফ আলী খন্দকারের ছেলে জয়নাল আবেদীন জানান, চলতি মাসের ২০ তারিখে মালেক মিয়ার ছেলে মিরাজ পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হারিটানা গ্রামের চৌরাস্তা বাজারে অসামাজিক কাজে গ্রাম পুলিশের হাতে ধরা পরে এবং স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধান হয়। পরে ওই ঘটনায় মিরাজ মিয়া প্রতিবেশী ফারুককে দোষারোপ করে ফারুকের বাড়িতে হামলা করে মিরাজ। তখন তাকে রক্ষা করতে গেলে ফারুকের বাবা ও ভাইকে ও জখম করে। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় রিক্সায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা দল বল নিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা করে গুরুতর জখম করে।
অভিযুক্ত মিরাজ ও মালেক মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদেরকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালের স্বাস্থ্যসহকারি মনিরুজ্জামান কনক জানান, হামলার সময় সন্ত্রাসীদের মধ্যে ২জনকে
ধরে আমাদের রুমের ভিতর আটক করে পুলিশে খবর দিয়ে ছিলাম। পরে পুলিশ আসার আগেই
মিরাজের সহযোগিরা আমাদের ভয়ভিতি দেখিয়ে তাদেরকে জোর করে নিয়ে গেছে।
পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবি ও বরগুনা জেলা
আইনজীবি সমিতির মহিলা সম্পাদিকা নাহিদ সুলতানা লাকি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এব্যাপারে আমার কাছে একটি মামলা ফাইল করা হয়েছে। বুধবার মামলাটি এজলাসে উঠবে।