পাথরঘাটায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ
বরগুনার পাথরঘাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে সভাপতি মো. শাহ জাহান ও সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ অভিযোগে রোববার পাথরঘাটায় উপজেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ।
লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, পাথরঘাটা উপজেলায় সদ্য সমাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য মো. কামাল উদ্দিন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তাছাড়া ওই বোর্ডের সভাপতি মো. শাহ জাহান কখনোই মুক্তিযুদ্ধ করেনি বা ভারতেও গমন করেননি। তিনি ছিলেন নকশাল বাহিনীর এবং মানিকখালী ছাড়া অন্য কোথাও গমন করেনি এবং জেল পলাতক আসামি। অন্যদিকে সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান তিনিও কোথাও সম্মুখযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেননি, তিনিও নকশালি ছিলেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন, আব্দুল খালেক মিলিটারী শহীদুল আলম তালুকদারের কাছে আত্মসমর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন।
যাচাই-বাছাই বোর্ডে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে শুধু মো. কামাল উদ্দিন ছাড়া অন্য কাউকে তারা দেখেননি। তারা সরকারি আইন অমান্য করে নিজেদের আর্থিক স্বার্থ হাসিলের জন্য একতরফা যাচাই-বাছাই করেছেন তা আমরা মানি না। এ নিয়ে আমরা লিখিত দরখাস্ত দিলেও কোনো ব্যাবস্থা না নিয়েই যাচাই-বাছাই হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের যাছাই-বাছাই নির্দেশিকা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহানকে সভাপতি, মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. কামাল উদ্দিনকে সদস্য করে কমিটি করে দেয়। পরে ওই কমিটি ৬ ও ৭ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধদের মধ্য থেকে প্রকৃতদের যাচাই-বাছাই করে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও সদস্যদেরকে মনোনীত করেছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। তারা বুঝেই কমিটি করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে তারাই বলতে পারবেন কিভাবে দিয়েছেন।