৪২ কেজি হরিণের মাংসসহ বাবা-ছেলে আটক
বাগেরহাটের রামপাল থেকে ৪২ কেজি হরিণের মাংসসহ সুন্দরবনে হরিণ শিকারিচক্রের সদস্য বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে। বাগেরহাট গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে রামপাল উপজেলার বগুড়া নদীর চর থেকে তাদের আটক করে। ওই শিকারিচক্র দুই দিন আগে সুন্দরবন থেকে তিনটি হরিণ শিকার করে। এর পর তারা হরিণ জবাই করে মাংস বিক্রির জন্য লোকালয়ে নিয়ে আসে। দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার অফিসে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে দুই সপ্তাহে পৃথক অভিযানে ১১১ কেজি হরিণের মাংস, ১৯টি হরিণের এবং একটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হয়। এ সময়ে বাঘ ও হরিণ শিকারিচক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়।
৪২ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক দুজন হলেন আব্দুর রহমান শেখ (৫২) এবং তার ছেলে মোস্তাকিন শেখ (২৭)। তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। তারা পেশাদার হরিণ শিকারি বলে পুলিশ জানায়।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাফিন মাহমুদ জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে বগুড়া নদীর চর থেকে হরিণ শিকারিচক্রের সদস্য ওই দুজনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়। ওই মাংসের মধ্যে তিনটি মাথা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই শিকারিচক্র দুই দিন আগে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করার পর জবাই করে। এর পর মাংস তৈরি করে বিক্রির জন্য লোকালয়ে নিয়ে আসে। এরা পেশাদার হরিণ শিকারি। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে বন বিভাগ শরণখোলা থেকে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারিকে আটক করে। এর আগের দিন শনিবার রাতে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৭ কেজি হরিণের মাংস এবং একটি মাথাসহ তিনজন হরিণ শিকারি ও পাচারকারীকে আটক করে। এর আগে ২৩ জানুয়ারি ভোরে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ শরণখোলা উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯টি হরিণের চামড়াসহ হরিণ শিকারি ও পাচারকারি সিন্ডিকেটের দুজনকে আটক করে। এ ছাড়া ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুন্দরবন বিভাগ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে শরণখোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাঘের চামড়াসহ বাঘ শিকারিচক্রের সদস্য গাউস ফকিরকে আটক করে।