পাথরঘাটায় হাতুরে ডাক্তারের অপচিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে বৃদ্ধ
কদিন আগেও যে ব্যাক্তি অন্যদের মতো হাটা চলা করতে পারতেন এখন অন্যের সাহায্য নিয়ে হাটাচলা করতে হয়। হাতুরে ডাক্তারের অপচিকিৎসায় ৬৫ বছরের হারুন সরদার নামে ওই বৃদ্ধের পৃথিবীর আলো দেখা বন্ধের পথে। এমন ঘটনা ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বাদুরতলা এলাকায়। আর এমন অভিযোগরে তীর একই এলাকার হাতুরে ডাক্তার সঞ্জিবের বিরুদ্ধে। অপচিকিৎসায় আল আমিন নামের অপর এক ব্যাক্তির মৃত্যুর পরেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন ওই চিকিৎসক।
বাদুরতলা এলাকার ভুক্তভোগী হারুন সরদার জানান, কিছুদিন আগে সঞ্জিবের কাছে তার মাজায় ব্যাথার জন্য আসলে সে একটি ব্যাথানাসক ইনজেসশন দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় পথের মধ্যেই তার চোখে ব্যাথা শুরু হয়। রাতেই চোখের চার পাশের চামড়া পুড়ে উঠে যাচ্ছে। পরে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎক মো. আবু বকর এর কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে চিকিৎসা দিয়ে বলেন, পরে আসলে হয়তো আপনার জন্য কিছুই করার ছিলো না, চোখ নস্ট হয়ে যেত।
সঞ্জিব এর চিকিৎসা নিয়ে গত ২বছর আগে মারা যান একই এলাকার সুলতানের ছেলে আল আমিন। আল আমিনের ভাই বেল্লাল বলেন, আমার ভাই সঞ্জিবের কাছে তার শারিরীক অসুস্থ্যতার জন্য চিকিৎসা নিতে আসলে সে ২২ ধরনের ওষুধ দেয়। সেই ওষুধ খেয়ে রাতের মধ্যেই তার শরীর ফুলে যায়। পরে চিকিৎসার জন্য পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ সময় কিছুদিন তার দোকান বন্ধ থাকার পরে আবার তার ব্যাবসা শুরু করেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবু বকর বিষয়টি নিশ্চিৎ করে জানান, ওষুধের পাশ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনে তার চোখে সমস্যা হয়েছে, তবে তিনি এখনো সঙ্কা মুক্ত না। তার চিকিৎসা চলছে। তার সুস্থ্য হতে সময়ের প্রয়োজন।
পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প:প: কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ জানান, এরকম ঘটনার কথা আমার জানানেই। কোন লিখিত অভিযোগ পেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।