পাথরঘাটায় প্রতিবন্ধিকে কর্মসংস্থান করে দিলেন ছাত্রলীগ
মো. কামাল হোসেন, শারিরীক প্রতিবন্ধি, স্বাভাবিকভাবে হাটাচলা করতে পারে না, কথাও বলছে অস্পষ্ট। হাটাচলা করতে না পারায় পেটের দায়ে ভিক্ষাবৃত্তি করেই চলছিল তার জীবিকা।
উপজেলা কালমেঘা ইউনিয়নের কালিবাড়ি এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. কামাল হোসেনকে (২৮) কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিলেন পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের লিকার পট্টিতে একটি স্টিলের বাক্স, পান, জর্দ্দা, চুন-সুপারি নগদ ১০ হাজার টাকাসহ পানের দোকান দিয়ে দেন। এমন মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। এসময় দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে কামালের হাতের চাবি তুলে দেন পাথরঘাটা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন। মোনাজাত পরিচালনা করেন সাংবাদিক হাফেজ শফিকুল ইসলাম খোকন।
জানা যায়, কামাল হোসেন (২৮) ১০ বছর আগে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গু হয়ে যায়, সাথে সাথে কথাও বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ চিকিৎসার পরে কথা বলতে পারলেও তা অস্পষ্ট। মায়ের অবর্তমানে বৃদ্ধ বাবার সংসারে একমাত্র ভরসাই প্রতিবন্দি কামাল হোসেন ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালাতেন। পঙ্গু কামাল দৈনিক ভিক্ষা করে যা পায় তি দিয়ে মৃত ভাইয়ের রেখে যাওয়া তিন সন্তান নিয়ে সংসার চালান। তার অভাবের সংসারের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগ।
প্রতিবন্দি কামাল হোসেন বলেন, আমি জানি ভিক্ষা করা পাপ। তারপরেও পেটের দায় করকে হচ্ছে। আমি পঙ্গু হয়েও পেটের দায়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসারের জোগান দিতাম। যা পেতাম তা দিয়েই মুটামুটি দিন চলতো। আমাকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন আমি খুশি এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ওয়ালিদ মক্কি ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেন মধু বলেন, ছাত্রলীগ শুধু রাজনীতিই করেনা মানবতার কাজও করে থাকে। তার উদাহরণ আজকের কামালকে কর্মসংস্থান করে দেয়া।