জানুয়ারির শুরুর দিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ!
বছর শেষ হতে বাকি আর মাত্র দুই দিন। এই দুই দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে। অপরিবর্তিত থাকবে দিনের তাপমাত্রা। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। এর কয়েক দিন পর রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা। জানুয়ারি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেশের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাউসার পারভীন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
কাউসার পারভীন বলেন, ‘আগামী দুই দিন রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে। এরপর থেকে আবার তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানুয়ারিতে আমরা দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা বলছি। এরমধ্যে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে।‘
মঙ্গলবার সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের কুয়াশা আচ্ছন্ন ছিল। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও বিকালের পর থেকে শীত অনুভূত হচ্ছে। খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় এবং সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে। সকাল ছয়টায় এই দুই স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রংপুর, বরিশাল সদর ও খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রির নিচে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগসহ মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বদলগাছী, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, রাজারহাট, বরিশাল ও খেপুপাড়া অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ কিছু কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি একটি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।