শাহিদুন তুমি কার?

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:৫৩ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

এই ছবিটি প্রতিকীপ্রথম স্বামীর অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় ব্যক্তির সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তা এখন অস্বীকার করেছেন তিন সন্তানের মা শাহিদুন আক্তার। আদালতে বলেছেন, বিয়ে নয়, কিছু দিনের জন্য সাকিবের সঙ্গে একত্রে ছিলাম মাত্র। তবে এখন সন্তানদের নিয়ে আগের স্বামী বিল্লাল হোসেনের কাছেই থাকতে চাই। সোমবার বিকেলে চাঁদপুরে বিচারিক হাকিম মো. হাসানুজ্জামানের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় এমন স্বীকারোক্তি প্রদান করেন, চাঁদপুরের মতলব উত্তরের শাহিদুন আক্তার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলার গালিম খাঁ এলাকার বৃদ্ধ শাহ আলমের বড় মেয়ে শাহিদুন আক্তারের (২৩) সঙ্গে কুমিল্লার দাউদকান্দির নসিবদী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বিয়ে হয়। বিগত ২০১৩ সালে বিয়ের পর মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে চলে যান স্বামী। গত সাত বছর আগে তাদের বিয়ে হলেও গতবছরেও আরেকবার প্রবাস থেকে দেশে ফেরেন বিল্লাল হোসেন। 
এর মধ্যে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চান্দেরচর গ্রামের মো. সাকিবের সঙ্গে মুঠোফোনে সম্পর্ক হয় শাহিদুন আক্তারের। তারপর নতুন করে শুরু হয় দুজনের মন দেওয়া-নেওয়ার পালা। স্ত্রী শাহিদুন আক্তার আর মো. সাকিবের এমন সম্পর্ক প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের অজানাই ছিল।

গত নভেম্বর মাসে শাহিদুন আক্তারের স্বামী বিল্লাল হোসেন কাতার থেকে দেশে ফেরেন। এসময় বাড়িতে তিন সন্তানসহ স্ত্রীকে খুঁজে পাননি তিনি। শ্বশুরবাড়িতেও লাপাত্তা। এই ঘটনায় দাউদকান্দি থানায় তিনি একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত শ্বশুরবাড়িতে নতুন স্বামীর সঙ্গে শাহিদুন আক্তারকে খুঁজে পান তিনি। গত রবিবার এই ঘটনার পর মতলব উত্তর থানা পুলিশের সহায়তা চান বিল্লাল হোসেন।
     
সোমবার সন্ধ্যায় মতলব উত্তর থানার ওসি নাসিরউদ্দিন মৃর্ধা জানান, প্রথম স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে শাহিদুন আক্তার ও তার প্রেমিক মো. সাকিবকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এদিন বিকেলে শাহিদুন ও তার প্রেমিককে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় বিচারিক হাকিম মো. হাসাদুজ্জামানের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন শাহিদুন আক্তার। তিনি আদালতকে বলেন, অন্যের সঙ্গে কিছুদিনের জন্য ঘর বাঁধলেও ফের ফিরে যেতে চান আগের স্বামী বিল্লাল হোসেনের ঘরে। তবে আদালতে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন, কিছুদিন একসঙ্গে থাকলেও মো. সাকিবের সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি।

ওসি আরো জানান, গৃহবধূ শাহিদুন আক্তারকে তার নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে, অন্যের স্ত্রী ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মো. সাকিবকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)