চাল চুরির দায়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুকে বরখাস্ত
মামলায় অভিযোগ, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ৬ নম্বর কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু ৫৫০টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়ম করেছেন।
ভিজিএফের চাল চুরির দায়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আলম চৌধুরী সই করা আদেশে আলাউদ্দীন পল্টুকে বরখাস্ত করা হয়।
সরকারের সাড়ে ২৭ হাজার কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে ১৬ এপ্রিল বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর উপসহকারী পরিচালক আরিফ হোসেন।
এর আগে ৪ এপ্রিল পাথরঘাটা থানায় একই অভিযোগে মামলা করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার রঞ্জিত মিস্ত্রি।
ওই দিনই চাল চুরির অভিযোগে চেয়ারম্যান পল্টুকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় বলা হয়, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ৬ নম্বর কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু ৫৫০টি জেলে পরিবারের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের আশ্রয় নেন। উপকারভোগীদের ৮০ কেজি চালের পরিবর্তে ৩০ কেজি করে চাল দেন। এভাবে তিনি ২৭ হাজার পাঁচশ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন, যার দাম প্রায় ১২ লাখ টাকা।
প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ এপ্রিল পল্টুকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এই বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার এবং জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন পল্টু। ১০ জুন আদালত থেকে তিনি জামিন পান, ২২ জুলাই বরখাস্ত আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ আদেশটি বাতিল করে সাত দিনের মধ্যে আবার হাইকোর্টে আবেদন করতে পল্টুকে নির্দেশ দেয়। পল্টু এরপর হাইকোর্টে গেলে তার বরখাস্ত আদেশ বহাল রাখে হাইকোর্ট।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির জানান, চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু চাল বিতরণ ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। তার এলাকায় বরাদ্দ ৪৪ টন চালের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৬ টন বিতরণের প্রমাণ রয়েছে।
