পাথরঘাটার সাওদা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে রাসেলকে যাবজ্জীবন দিয়েছে হাইকোর্ট
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাওদা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র রাসেল মিয়ার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের চূড়ান্ত শুনানির পর সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
সাওদা পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর গ্রামের মল্লিক বাড়ির রাজ্জাক মল্লিকের মেয়ে।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম. মাসুদ রানা, মো. আসাদ উদ্দিন ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
পরে শিশির মনির জানান, ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নামঞ্জুর করে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র রাসেলের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।
আইনজীবীরা জানান, ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাওদা (১৯) বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ঘটনার দিন হত্যাকাণ্ডের শিকার সাওদার মা সাহিদা বেগম বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল মিয়া (২২) সহ অজ্ঞাতপরিচয় দুই/তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন তার মেয়ে ও রাসেলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক কারণে সাওদা রাসেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
পরে একইবছরের ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ আসামি রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করে।
মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১ জুন বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আসামি রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।
এরপর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এছাড়া আসামি আপিল করেন