রাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রী মতিহার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান মামলার বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস মোহাম্মদ শ্রাবণ বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক। তার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার পৌরশহরের ৬নম্বর ওয়ার্ডের তলতলা এলাকার মো. জসিম এর ছেলে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ২০১৯ সালে আগস্টে শ্রাবণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই মাসের এক সন্ধ্যায় শ্রাবণ জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে চাইলে শ্রাবণ তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
বর্তমানে তিনি ওয়ান স্টপ ক্রাসিস সেন্টারে (ওসিসি) আছেন জানিয়ে ওই ছাত্রী বলেন, “এরপরও শ্রাবণ জোরপূর্বক দুইবার আমাকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে ২০২০ সালের মার্চে আমি গর্ভধারণ করি। তখন সে অ্যাবরশন (গর্ভপাত) করাতে আমাকে বাধ্য করে। সর্বশেষ গত অক্টোবরে আমি আবারও গর্ভধারণ করি। এরপর থেকে সে আমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছে না, বিয়েও করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।”
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা শ্রাবণ বলেন, “আমাদের রিলেশন ছিল। সম্পর্কের মধ্যে যা ঘটেছে দুজনের ইচ্ছায় হয়েছে। ব্রেকআপও হয়েছে দুজনের সমঝোতার মাধ্যমে। কিন্তু হঠাৎ কেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছে সেটি আমার জানা নেই।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, “শুনেছি ওই ছাত্রী মামলা করেছেন। যতদূর জানি তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্পর্ক ব্রেকআপ হওয়ায় তিনি এমন অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”(ঢাকা ট্রিবিউন)