বরগুনায় শিশুকে চাপা দিয়ে উধাও সওজ’র গাড়ি
বরগুনা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িচাপায় রেদওয়ান (৪) নামের একটি শিশু আহত হয়েছে।
রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে বরগুনা-পুরাকাটা সড়কের কেওড়াবুনিয়া কৃষি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রেদওয়ান সদর উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া এলাকার মোঃ ইউনুস মুসুল্লির ছেলে।
পরে পথচারী ও স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে গুরুতর আহতাবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তার বিপরীত দিকের একটি দোকান থেকে শিশুটি খাবার কিনে রাস্তা পারাপারের সময় পুরাকাটার দিক থেকে আসা একটি টয়োটা জিপ গাড়ি শিশু রেদওয়ানকে চাপা দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়ে। স্থানীয় ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিশু রেদওয়ানের অভিভাবকরা গাড়ির সন্ধান করে জানতে পায়, ওই গাড়িটি বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর এবং চালক কামাল হোসেন। গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ ০২১৭৪৯। সওজ কার্যালয়ের গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও শিশুটির অভিভাবকদের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেননি নির্বাহী প্রকৌশলী। তবে গাড়িটি সওজ’র এবং ওই গাড়িতে ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী এবং চালক কামাল হোসেন এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৈশ প্রহরী মনিন্দ্র চন্দ্র।
তিনি বলেন, গাড়িটি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী উভয়েই ব্যবহার করেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই চালক কামাল হোসেন মুঠোফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন। তার ব্যবহৃত নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
যোগাযোগ করা হলে,সওজ বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। অনেক চেষ্টা করেও কার্যালয়ে তার সাথে দেখা করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় শিশু রেদওয়ানের মামা সরোয়ার হোসেন রাত ন’টার দিকে বরগুনা থানায় নির্বাহী প্রকৌশলী হায়দারুজ্জামান ও চালক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিশুটির চিকিৎসা নিশ্চিতের পাশাপাশি এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।(যমুনা টিভি)