আমতলীতে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, ৮ দিনেও খোঁজ না পেয়ে ধর্ষণ মামলা
আমতলী প্রতিনিধিঃ
অষ্টম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণের পর আটদিনেও খোঁজ না পেয়ে দাদা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেছেন বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহন করে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার নেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ঘটনাটি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার টিয়াখালী গ্রামে। আসামীরা হল, খেকুয়ানী গ্রামের মোস্তফা মৃধার ছেলে মনির মৃধা, উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মোস্তফা মুন্সীর ছেলে নিজাম ও তার স্ত্রী আসমা এবং মোস্তফা মুন্সীর ছেলে নুর সাইদ।
জানা যায়, ওই স্কুল ছাত্রী ৪ নভেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটায় উত্তর টিয়াখালী আমিরজান স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার সামনে দাড়ালে ওই সময় আসামী মনির মৃধা ও অপরিচিত একজন লোক বাদীর নাতনিকে একটি মোটর সাইকেলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। স্কুল ছাত্রীর ডাক চিৎকারে তার সহপাঠি সফিক ও সাকিব এগিয়ে গেলেও স্কুল ছাত্রীকে আটকাতে পারেনি।
বাদী শানু মৃধা বলেন, আমার নাতনির বাবা মা ঢাকা থাকে। আমার কাছে থেকে নাতনি পড়াশোনা করে। আসামী মনির মৃধা আমার নাতনিকে পথে ঘাটে কুপ্রস্তাব দেয়। বিয়ে করতে চায়। আমরা রাজি না হলে আমার ১৪ বছরের নাবালিকা নাতনিকে অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় অপহরণ করেছে। আমার বিশ্বাস মনির আমার নাতনিকে কোথাও আটক রেখে জোর করে ধর্ষণ করেছে। অথবা ধর্ষণ করে হত্যা করতে পারে। এমনও হতে পারে আমার নাতনিকে দেশের বাইরে পাচার করে দিতে পারে।
বাদী আরও বলেন, আমি পরে জানতে পারি সকল আসামীরা অপহরণের বিষয়টি জানতো। আমার নাতনিকে তাদের দখলে রেখেছে। আমি আসামীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে আমার নাতনিকে ফেরৎ চাইলে তারা বলেন, মনিরের সাথে বিয়ে দিতে। নাতনিকে খুঁজে কোথাও না পেয়ে আমতলী থানায় ৮ নভেম্বর মামলা করতে গেলাম। থানা মামলা নিল না।।
আমতলী থানার ওসি মো: শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ব্যাপরে আমতলী থানায় কেহ মামলা করতে আসেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছে। আমি কেন মামলা নিব না। যখন আসবে তখন মামলা নিব।