পাথরঘাটায় ঘুষের টাকা না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘুরিয়ে দিয়েছে ইউনিয়ন ভূমিসহকারী
বরগুনার পাথরঘাটায় মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন এর নাতি মো. বেল্লাল হোসেন সেন্টুর মালিকানাধিন রাব্বি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘুষের টাকা পরিশোধ না করে ওই প্রতিষ্ঠানে পাকা খুটির পিলার নির্মাণ করায় চরদুয়ানি ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. এনামুল হক আকষ্মীক ভাবে ঘুরিয়ে দেয়া অভিযোগ উঠেছে।
গত ৪ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী বাজার এলাকায় এনামুল এর দালাল নামে পরিচিত ৮/১০জন লোক নিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ঘুরিয়ে দেয়। এতে ওই ব্যাবসায়ী সেন্টুর প্রায় ১০/১২লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
আল-আমিন ও আরিফ হোসেনসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, স্থানীয় ইউনুছ এর ছেলে পারভেজ (২৫) ছত্তারের ছেলে কবির (৩৮) সুভাষ চায়ের দোকান্দার (৫০) আমিরের ছেলে সোহেল (৩৭) চান মিয়ার ছেলে মোস্তফা (৫২)সহ ৮ থেকে ১০জন লোক চরদুয়ানী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা এনামুল হকের নেতৃত্বে বেল্লাল হোসেন সেন্টুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। তারা এলাকায় ভূমি সহকারী এনামুলের দালাল নামে পরিচিত। এ সময় ওই ওয়ার্কশপের যন্ত্রাংশ পার্শ্ববর্তী পুকুর ও খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
ওয়ার্কশপ মালিক বেল্লাল হোসেন সেন্টু বলেন, আমাকে কোন নোটিশ প্রদান না -করে এবং আমি প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খাসজমিতে এ অভিযোগ তুলে ৮ থেকে ১০ জন লোক নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ভাঙচুর করেছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এনামুল হক। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পিলারের খুঁটির কাজ করার কথা জানতে পেরে চরদুয়ানী ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এনামুল হক আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই ঘুষের টাকা পরিশোধ না করায় দালাল নিয়ে আমার ঘর ভাঙচুর করেছেন চরদুয়ানী ভূমি কর্মকর্তা এনামুল হক।
ওই ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ চরদুয়ানী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এনামুল হকের আমি বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চরদুয়ানীর ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. এনামুল হক তার সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।