আরো সচেতন হতে হবে -পূর্ণিমা
করোনার প্রথম কয়েক মাস ঘরবন্দি জীবন কাটিয়েছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। করোনা ভাইরাসের কারণে সে সময়ে মিডিয়ায় কোনো কাজেই অংশ নেননি। তবে এর মাঝেই করোনা আক্রান্ত হন পূর্ণিমা। আক্রান্ত হবার পরই চলে যান কোয়ারেন্টিনে। করোনা জয় করে ইতিমধ্যে কাজেও ফিরেছেন তিনি। অংশ নিয়েছেন নইম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের ‘জ্যাম’ শীর্ষক সিনেমায়। এখানে তার নায়ক ফেরদৌস।
পূর্ণিমা বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক দিন কাজ করিনি। তবে এবার কাজ শুরু করলাম। যতটুকু সচেতন থেকে কাজ করা যায় করছি। তারপরও ভয় ভয় লাগে। ‘জ্যাম’ ছবির গল্প ও তাতে আমার চরিত্র চমৎকার। খুব সুন্দর একটি ছবি পেতে যাচ্ছেন দর্শক। তাহলে কি নিয়মিত কাজ করবেন এখন?
এ নায়িকা বলেন, আমি করোনার আগেও একেবারে নিয়মিত কাজ করিনি। আর এখন তো প্রশ্নই উঠেনা। খুব বেছে কাজ করবো। সচেতনতা এবং নিরাপত্তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। আর শীত চলে আসছে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নাকি আসছে! তাই সবারই আরো সচেতন হতে হবে। কারণ নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপদে রাখাই সব থেকে জরুরি।
সিনেমার এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে পূর্ণিমা বলেন, চলচ্চিত্রের অবস্থা এমনিতেই তো ভালো ছিলো না। যদিও খুব ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে এখন। করোনার কারণে অবস্থা আরো খারাপ চলচ্চিত্রের। সব স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আসলে অবস্থা ঠিক তেমন হবে না। আর সব স্বাভাবিক কবে হবে সেটা অনিশ্চিত। এ নায়িকা যোগ করে বলেন, যেদিন থেকে সাধারণ ছুটি শুরু হয়েছিল তারপর আমি কোথাও যাইনি। বেরই হইনি। আর
কাজ তো দূরের কথা। কিন্তু কতদিন আর বন্দি হয়ে থাকা যায়। তবে অবশ্যই সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। এর বিকল্প নেই। ‘শত্রু ঘায়েল’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করলেও জাকির হোসেন রাজুর ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মধ্য দিয়ে নায়িকা পূর্ণিমার যাত্রা শুরু হয়।
১৯৯৭ সালের এ ছবিতে তার নায়ক ছিলেন রিয়াজ।
এরপর ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘শাস্তি’, ‘শুভা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’সহ অনেক সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন পূর্ণিমা। কাজি হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ ছবির জন্য ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান তিনি।