তালতলীতে স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে ৩ সন্তানের জনকের আত্মহত্যা
বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড়ভাইজোড়া গ্রামে স্ত্রীকে পরকিয়া প্রেম থেকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে ৩ সন্তানের জনক শাহাদাত হোসেন (৪০)। শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে তেঁতুলগাছের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি।
আজ শুক্রবার তেঁতুলগাছ থেকে শাহাদাতের মৃতদেহ পুলিশ উদ্বার করে।
শাহাদাতের পারিবারিক ও স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্র জানায়, প্রায় ২০ বছর শাহাদাতের পারিবারিক জীবন।
একই গ্রামের আব্দুস সত্তারের মেয়ে লাকীর সাথে শাহাদাতের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শাহাদাত শ্বশুরবাড়ি থাকলেও বরিশাল শহরে রিকসা চালাত।
কয়েক বছর যাবৎ একই গ্রামের হাসান নামের একটি ছেলের সাথে লাকীর পরকীয়া প্রেম শুরু হয়। পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে একাধিকবার গ্রামের লোকজন নিয়ে সালিশি বৈঠক করে লাকীকে পরকীয়া থেকে ফেরানোর চেষ্টা করে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন ব্যার্থ হয়।
কয়েকদিন পূর্বে লাকী বাড়ি থেকে পালিয়ে বরগুনা এসে শাহাদাতকে তালাক দিয়ে হাসানকে বিয়ে করে।
গত ২ নভেম্বর শাহাদাত বরিশালে মোবাইলে গ্রামবাসীর কাছে জানতে পেরে শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রীকে না পেয়ে তার ব্যাপারে সকল অভিযোগ অডিও রেকর্ড করে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ঐ অডিও স্থানীয় ইউনিয়নের চৌকিদারের নিকট পৌঁছে দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যা করে। পুলিশ শাহাদাতের অডিও রেকর্ড উদ্ধার করেছে।
শাহাদাতের ভাই কামাল জানায়, শাহাদাতের ৩টি সন্তানের মধ্য বড় ছেলে আবু হানিফ বালুর জাহাজে কাজ করে। মেয়ের বয়স ৭ বছর এবং ছোট ছেলের বয়স ৪ বছর।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।