পাথরঘাটার জেলেরা রাত পোহালেই ইলিশ আহরণে নামবে
মা ইলিশ রক্ষাকল্পে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহর থেকে আবারও ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ শিকারে নামবে জেলেরা। প্রজনন মৌসুম নিরবিঘ্নিত করতে এই সময়ে সরকার সারাদেশে ইলিশ ধরা বন্ধ রেখেছে। তাছারা এবছরের শুরু থেকেই করোনা মহামারি ও সমুদ্রের দুর্যোগ এবং মহাজন ও আড়ৎদারদের কাছ থেকে ধারদেনা করে জীবন অতিবাহিত করেছেন। এর আগের সময়ের চেয়ে এবছর অনেক কস্টে সময় অতিবাহিত করেছেন।
গত মাসের ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৪ নভেম্বর ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ আহরণ, মওজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। অভয়াশ্রম চলাকালে এ উপজেলায়
উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১১ হাজার ৪শ ৩৮ জেলে পরিবারকে ২২৮.৭৬ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল দিয়ে সরকারী সহায়তার দেয়া হয়েছে। এ উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে ১৫২৯ জেলে, কাকচিড়া ইউনিয়নে ১২১৪ জেলে, রায়হানপুর ইউনিয়নে ৫৮২ জেলে, নাচনাপাড়া ইউনিয়নে ৪৮২ জেলে, কাঠালতলী ইউনিয়নে ১০৬২ জেলে, চরদুয়ানী ইউনিয়নে ২৮৫৮ জেলে, সদর ইউনিয়নে ৩১৬৮ জেলে ও পাথরঘাটা পৌরসভায় ৫৪৩ জন জেলে রয়েছে। তাদের প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
জেলে মনির হোসেন, এমাদুল, সরোয়ার পাথরঘাটা নিউজকে জানান, এবছর যে দুর্যোগ জেলেদের উপর দিয়ে গেছে তা এর আগে আর কখনো যায়নি। আমরা প্রতি বছর মহাজন, আড়ৎদার ও বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে ঋন নিয়ে সাগরে ট্রলার ভাসাই, কিন্তু এবছর একদিকে করোন, অন্য দিকে সাগরে দুর্যোগ, সব মিলিয়ে আমরা নিস্ব। সরকার যদি কোন পদক্ষেন আমাদের জন্য না নেয় তবে সব ছেরে দুরে কোথাও চলে যেতে হবে।
মা ইলিশ রক্ষার অভিযান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে অধিকাংশ জেলেই মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলেও একশ্রেণির অসাধু জেলেরা অভয়াশ্রম এলাকায় প্রচুর মা ইলিশ নিধন করেছে। তাছারা ২২ দিন অলস সময় কাটানোর পর বুকভরা আসা নিয়ে রুপালী ইলিশ আহরণে গভীর সমুদ্রসহ বিভিন্ন নদনদীতে নামবে জেলেরা। বেশ কয়েকদিন যাবৎ জাল ও নৌকা প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত ছিল তারা।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু পাথরঘাটা নিউজকে জানান, বর্তমান বছরে জেলেরা কিছুটা সমস্যার মধ্যে থাকলেও এই সম্যাসা কেটে যেতে পারে। তাছারা ৬৫ দিনের অবরোধ, মা ইলিশ সংরক্ষন ও জাটক নিধনের জন্য জেলেদের সহায়তা করা হয়। তবে এর আগে এরকম দুর্যেগে সম্মুখিন জেলেরা হন নাই সে হিসেবে সরকারের কোন পদক্ষেপ আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এরকম কোন নির্দেশনা আমাদের কাছে আনেনি।