মেডিকেল টেকনোলোজিষ্টকে উত্তেজিত জনতার মারধর মঠবাড়িয়ায় এক ক্লিনিকের বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে অন্য গ্রুপের রক্ত পুশের অভিযোগ
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ধানীসাফা ইউনিয়ন বাজারে অবস্থিত মনির হোসেন সার্জিকাল ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই সুরমা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর শরীরে অন্য গ্রুপের রক্ত পুশ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূল রক্ত পুশের পর ওই গৃহবধূ মারাত্মক অসুস্থ হলে গত দু’দিন ধরে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সুরমা বেগম উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তফা বিশ্বাসের স্ত্রী।
ওই গৃহবধূর স্বামী ও স্থানীয় সাফা বাজারের তামান্না টেলিকমের মালিক মোস্তফা বিশ্বাস জানান- দু’সন্তানের জননী তার স্ত্রী সুরমা বেগম শারীরিক দুর্বলতার জন্য গত ৩০ অক্টোবর (শুক্রবার) সকালে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে দেখান। চিকিৎসক রক্ত শূন্যতার জন্য রোগীর শরীরে দ্রুত রক্ত দেয়ার পরামর্শ দেন। গতকাল সোমবার বিকেলে স্ত্রী সুরমার ও+ পজেটিভ (০+) শরীরে রক্ত দেয়ার জন্য ওই ক্লিনিকে গেলে বহিরাগত এক যুবকের বি- পজেটিভ (বি+) রক্ত সংগ্রহ করে তার স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা ছাড়াই মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট রক্ত পুশ করা শুরু করে। এরপর ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী শরীরে ও পজেটিভের পরিবর্তে বি+ পজেটিভ রক্ত পুশ করা হয়েছে। এ নিয়ে বাক বিতন্ডা হলে এক পর্যায়ে উত্তেজিত উপস্থিত জনতা মেডিকেল টেকনলোজিষ্ট সামিউল আলমকে মারধর করে।
এদিকে মারাত্মক আহত গৃহবধূকে সোমবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা প্রেরণ করা হয়।
ওই ক্লিনিকের মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট সামিউল আলম নিজের ভূল স্বীকার করে বলেন- রোগী দাবী করেছিল রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ তাই পরীক্ষা করা হয়নি। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা আমাকে মারধর করে।
ক্লিনিক মালিক মনির হোসেন বলেন- মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে সাথে সাথে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা পাঠানো হয়।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, এ ঘটনায় মারাত্মক একটি দূর্ঘটনা ঘটতে পারত। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।