রিফাত হত্যা: অপ্রাপ্তবয়স্ক ৬ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড, ৩ জন খালাস
বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ৬ জনকে ১০ বছর, ৪ জনকে ৫ বছর ও একজনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
এর আগে, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে শিশু আদালতে নিয়ে আসা হয় কারাগারে থাকা ৬ আসামিকে। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আদালতে হাজির হয় জামিনে থাকা ৮ আসামি।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- মো. রাশিদুল হাসান রিশান ওরফে রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আবু আবদুল্লাহ্ ওরফে রায়হান, মো. ওলিউল্লাহ্ ওরফে অলি, জয় চন্দ্র সরকার ওরফে চন্দন, মো. নাইম, মো. তানভীর হোসেন, মো. নাজমুল হাসান, মো. রাকিবুল হাসান নিয়ামত, মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিবুল্লাহ, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাতুল শিকদার জয়, মো. আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও তার গ্রুপের সদস্যরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। ওই দিন বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রিফাত। ঘটনার পরদিন রিফাতের বাবা মো. আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর পুলিশ একে একে গ্রেফতার করে এজাহারভুক্ত আসামিদের। রিফাতের ওপর হামলার ছয়দিন পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড।
ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এদের মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত। ৭৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে ১৪ অক্টোবর বরগুনা শিশু আদালত এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করে। ১৪ আসামির মধ্যে ৭ আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ প্রাপ্তবয়স্ক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৪ আসামিকে খালাস দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।