পাথরঘাটা বৈরাগী বাড়ি মন্দিরে প্রতিমার মুকুট কালেমা লেখা! নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন কর্তৃপক্ষ
বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বৈরাগী বাড়ি মন্দিরের প্রতিমা দুর্গার মাথার মুকুটে আরবিতে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” লেখা বিষয় ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুরে প্রতিমা বিসর্জনের সময় বিষয়টি একজনে দেখতে পেয়ে ছবি ও ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করলে মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিতে দেখা যায় দুর্গার মাথার মুকুট এর পিছনের অংশে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি বইয়ের মলাট দিয়ে নকশা তৈরি করে প্রতিমার মুকুটে হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে। যাতে আরবি অক্ষর এ বড় বড় করে লেখা ছিল “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান মন্দির কমিটির সভাপতি বাসুদেব শীল ও পূজা পরিষদের সভাপতি অরুন কর্মকার। রাত সাড়ে বারোটার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা হাতজোড় করে নিঃস্বার্থভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন দেশবাসীর কাছে। এর জন্য দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে বলে অঙ্গীকার করে তারা। পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন কর্মকার বলেন আমরাঅত্যন্ত দুঃখিত এবং লজ্জিত এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা পাথরঘাটায় হিন্দু মুসলিম সব সময় সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছি। যিনি এই মূর্তির কারিগর তার ভুলের কারণেই আজ আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখব বলেও জানান অরুণ কর্মকার। নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া সংবাদ সম্মেলনে আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে জমিয়তে হিজবুল্লাহ পাথরঘাটা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সেলিম আজাদ বলেন প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা সুষ্ঠু সমাধান রয়েছে এ জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এ বিষয়ে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দেশবাসীকে জানিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান বলেন ভবিষ্যতে যদি এরকম কোন ভুল প্রতীয়মান হয় তাহলে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনে যাব আমরা। প্রশাসনের মাধ্যমে আজকেরে ক্ষমা চাওয়া কে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এময় উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহাগ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন।