মঠবাড়িয়া কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কেএম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অবিযোগ করেছে বিদ্যারয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
বিদ্যারয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে সহকারী শিক্ষকরা আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্তরায় এ সংবাদ সম্মেলন সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ ২২ টি অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান ২০ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন ।
লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রধান শিক্ষক গত ২০ মাস ধরে শিক্ষদের স্কুল প্রদেয় বেতন-ভাতাদি স্থগিত রেখেছেন। বর্তমান করোনা কালে শিক্ষকরা বিদ্যালয় হতে ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
অভিযোগে আরও বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় থেকে অনুদানের ২ লাখ টাকা, একটি বেসরকারি সংস্থার সম্মেলন খরচ বাবদ ৬০ হাজার টাকা, বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশ বাবদ ৩ লাখ ২১ হাজার টাকা, বিদ্যালয়ের মার্কেটের ৬৫০ টি দোকান বরাদ্ধ বাবদ প্রতি দোকান বাবদ ২ লাখ টাকাসহ ভূয়াা বিল ভাউচার দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন।
এছাড়া বিদ্যালয়ের অন্যান্য আয় সহ ফান্ডে আনুমানিক ১০ কোটি টাকা বর্তমানে গচ্ছিত থাকার কথা। যা এখন শুন্যের কোঠায়।
বিদ্যালয়য়ে নেটিজেন নামে একটি আইটি প্রতিষ্ঠানকে লাখ লাখ টাকা প্রদানের বিল ভাউচার হলেও কোন পূর্ণাঙ্গ সুবিধা মেলেনি। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০০ শত টাকা করে আদায় করছেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রাবাসটি বন্ধ করে অর্ধ কোটি টাকা ব্যায়ে বিলাসবহুল বাসস্থান নির্মাণ করেন। ফলে বিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রাবাসটি চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খান সাহেব হাতেম আলীকে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দিয়ে মামলা করে তাকে চরম অপমান ও অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অমল চন্দ্র হালদার, বর্তমান সহকারী শিক্ষক মোঃ নুর হোসেন, মোঃ এনামুল হক, নুরুল ইসলাম মৃধা, নিরঞ্জন কুমার রায়, আজম্মেল হোসেন, জামাল হোসেন, এমাদুল হক, সুজিৎ কুমার বিশ্বাস, সঞ্জয় কুমার মৃধা ও জীবন হাওরাদার প্রমূখ।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের অর্থ খরচ আমার একার আওতাভুক্ত নয়। আমি কোন অর্থ খরচ করি না। সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্তদের ভাউচাওে স্বাক্ষরের পর আমি স্বাক্ষর করি। সকল খরচের ভাউচার অফিসে সংরক্ষিত আছে।