পাথরঘাটায় একটানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, চাষিদের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা
গত তিন দিন ধরে টানা বর্ষণে পাথরঘাটার উপকূলীয় এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে এই এলাকার নিম্নাঞ্চল একটানা বর্ষণে বাড়ি-ঘর ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে বর্ষণ শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত ভারিবর্ষণ অব্যহত রয়েছে।
কৃষক কামাল হোসেন, আব্দুল জব্বার, মতিউর রহমান জানান, গত কয়েক মাসের চেয়ে একটানা অনেক বেশী বৃষ্টি হয়েছে এবং জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের জন্য বৃষ্টি বেশী একটা সমস্যা না, যদি বৃষ্টির সাথে বাতাস শুরু হয়ে তবে আমাদের বড় ধরনের সমস্যায় পরতে হবে। বাতাস হলেই ধানের গাছ গুলো মাটিতে পরে যাবে, তাতে অধিকাংশ জমির ধান নস্ট হয়ে যাবে। তাছারা সামনে শীতের মৌসুম শুরু হবে তাই অনেকেই এখন আগাম বিভিন্ন প্রজাতির সব্জি চাষ শুরু করেছে। তাদের অনেকেরই সব্জির চারা নস্ট হয়ে গেছে।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, পাথরঘাটা উপজেলায় ১৬ হাজার ৮শ ২৭ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে, তবে যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে বা পানি জমেছে তাতে ধানের উপর বেশী একটা প্রভাব পরবে না। ধারণা করা হচ্ছে এই পানি স্থায়ী থাকবে না তাই সমস্যাও কম হবে। তাছারা অন্য যে সবজি জাতীয় কৃষি আছে তার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে, তবে যদি বৃষ্টি আর না পরে এবং রোদ উঠে তবে তাতেও প্রভাব কম পরবে।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে একটা তালিকা করা শুরু করেছি। ধারনা করা হচ্ছে এ উপজেলায় ১০.২ হেক্টর মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। তাতে চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সাংবাদিকদের জানান, নিম্নচাপ ও ভারি বর্ষণের ফলে নদীর পানি তিনফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে উপকূলের নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বরগুনা পাউবো’র পানি পরিমাপক মাহতাব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সবশেষ জোয়ারের বরগুনার তিনটি নদীর পানিই স্বাভাবিকের চেয়ে তিনফুট বেড়েছে।