অতিরিক্ত বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পাথরঘাটার নিম্নঅঞ্চল, ঘরের মধ্যে হাঁটু পানি
টানা ১২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে বরগুনার পাথরঘাটার বিভিন্ন সড়ক, অলি-গলি তলিয়ে গেছে। পৌর শহরের নিচু এলাকার ঘর-বাড়িতেও হাঁটু পানি জমেছে। রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে সে রকম যানবাহনও দেখা যায়নি। সকালে পাথরঘাটা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যে জানা যায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে এ বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত কাল সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি চলে সকাল ১০ টা পর্যন্ত। এরপর হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত রেপোর্ট লেখা (দুপুর একটা) পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে গেছে পাথরঘাটা পূর্ব বাজারের প্রায় বিশটি বসত ঘরে।
পৌর শহরের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর, আলম, বেবী, হাফিজ, ফাহিম জানান এমনিতেই সামান্য বৃষ্টিপাত হলে ঘরের ভিতর পানি জমে যায়রাত থেকে টানা ১২/১৩ ঘণ্টা একাধারে বৃষ্টি পড়ায় ঘরের মধ্যে থাকা এখন দুষ্কর হয়ে গেছে।
পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুকুল জানান তার ঘরের ভিতর হাটু পর্যন্ত পানি জমে গেছে। রান্না করার চুলা হারিয়ে গেছে পানির নিচে। রান্নাবাড়া বন্ধ থাকায় রাত থেকেই মানবতার ভাবে জীবন যাপন করছে তারা।
পাথরঘাটা শহরের দোকানপাট গুলো রয়েছে বৃষ্টির কারণে বন্ধ। দেখা গেছে অনেক দোকানের ভিতর পানি জমেছে। সেগুলো নিষ্কাশনের জন্য চেষ্টা করছে ব্যাবসায়ীরা। অপরদিকে পাথরঘাটা শহরের কাঁচা বাজার তলিয়ে গেছে পানির নিচে। কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের দাবি তারা কয়েক লাখ টাকা খাজনা দিয়েও পৌরসভা থেকে কোনো সুব্যবস্থা পাচ্ছেনা।
পৌর শহরের টল ঘর গুলো ঘুরে দেখা যায় অবৈধভাবে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীরা দখলে রেখে ব্যাবসা করছে। এ কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ভোগান্তিতে পড়েছে।
পাথরঘাটা পৌরমেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন পৌর শহরে যে ক’টি ড্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো অবৈধভাবে দখল করেছে দখলদাররা। পাশাপাশি শহরের ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলায় আটকে যাচ্ছে ড্রেনের মুখগুলো এ কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতা দূরীকরণের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।